![প্রিন্টেড ক্যাজুয়াল শার্ট](http://rongpata.com/uploads/images/image_big_156_5aa4e91ae6d86.jpg)
প্রিন্টেড ক্যাজুয়াল শার্ট
জিন্সের সঙ্গে ‘লেয়ার্ড লুক’ কিংবা ‘মিক্স অ্যান্ড ডিফারেন্ট’ রঙের মিলান্তি। ভাবছেন, এ আবার কিসের মিক্স অ্যান্ড ডিফারেন্ট? বলছি প্রিন্টেড ক্যাজুয়ালের ট্রেন্ডি শার্টের কথা। ডিজাইনার থেকে বিক্রেতা সবাই বলছেন তরুণ প্রজন্মের এই ফ্যাশনেবল ওয়্যারের কথা। কলেজ থেকে অফিস, শপিংমল থেকে সিনেমা হল সবখানেই এখন প্রিন্টেড ক্যাজুয়ালের ছোঁয়া।
ক্যাজুয়াল আর ডেনিম তো সারা বছরই পরা হয়। এখনকার উঠতি বয়সী ছেলেদের পাশাপাশি মধ্যবয়সীরাও বাদ যান না এই ফ্যাশন থেকে। ক্যাজুয়াল শার্টের বাজারে হরহামেশাই আসে নতুনত্ব।
এই যেমন বর্তমান সময়টাই প্রিন্টেড ক্যাজুয়াল শার্টের দখলে। আসল কথা হলো স্টাইলের ছকটি মাথায় রেখে পোশাক নির্বাচন করতে পারলেই যে কেউ হয়ে উঠবে ‘লেয়ার্ড লুক’ অর্থাৎ আকর্ষণীয়। এমনটাই মেনেছেন ফ্যাশন বোদ্ধারা।
বাজার ঘুরে দেখা গেল, স্ক্রিনপ্রিন্ট, চেক, স্ট্রাইপড, পলকা ডট, ফুলেল মোটিফের ফ্যাশনেবল শার্ট। বিভিন্ন প্রিন্টেড নকশা আর ডিজাইনে আনা হয়েছে বৈচিত্র্য। কলার ও হাতার কাফেও আছে ভিন্নতা। প্রিন্টেড শার্টে থাকছে একরঙা হাতার কাফ। কখনো আবার শার্টের প্রিন্ট নকশা থেকে একটি রং নিয়ে বসানো হয়েছে বোতাম প্লেটে ও পকেটে। এ ছাড়া একাধিক প্রিন্টের ফিউশন নকশার দেখাও মিলছে শার্টে। কখনো আবার ফুলেল নকশার সঙ্গে জ্যামিতিক নকশার সমন্বয়। তবে এসব শার্টের বোতামের ব্যবহারেও ভিন্নতা চান অনেকেই। তারা কাঠের বোতাম আর প্লাস্টিকের রঙিন বোতাম বেশি পছন্দ করছেন। গরমের কারণে সবার পচ্ছন্দের শীর্ষে হালকা রঙের প্রিন্টেড ক্যাজুয়াল।
আর এসব প্রিন্টেড ক্যাজুয়াল শার্টের কলারের ব্যবহারেও রয়েছে ভিন্নতা। আগেকার বড় কলারের শার্ট হয়েছে এখন ছোট কলার। প্রিন্টেড বিভিন্ন রংচঙা শার্টের বিক্রিও বেশি। তবে চেক এবং স্ট্রাইপ শার্টের কদর এখনো আগের মতোই আছে। তবে স্ট্রাইপ শার্ট কিনলে নজর দিতে হবে সেলাইয়ের ওপর। কারণ স্ট্রাইপের সেলাইতে স্ট্রাইপ না মিললে সেটা দেখতে একেবারেই বেমানান লাগে। তাই স্ট্রাইপ মেলানো শার্ট কেনা উচিত।
♦ কোথায় পাবেন, কেমন দাম?
নগরীর বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজে পাবেন এসব প্রিন্টেড ক্যাজুয়াল কালেকশন। ইনফিনিটি, লুবনান, রিচম্যান, ইজি, ইয়েলো, সেইলর, ইয়াং কি, সাদাকালো, আড়ং,সহ বিভিন্ন নামি-দামি ফ্যাশন হাউসের আউটলেটে পাবেন হরেক ডিজাইনের হাফ শার্ট। দাম পরবে ১ হাজার ৬০০ থেকে ৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া ঢ্যুঁ মারতে পারেন নগরীর বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্স, যমুনা ফিউচার পার্ক, পিংক সিটি, পুলিশ প্লাজা, রাইফেল স্কয়ার, নিউমার্কেট, নুরজাহান শপিংমল, ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেটসহ বিভিন্ন শপিংমলে।
সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন
ছবিঃ সংগৃহীত