 
                                                                    
                            জন্মনিয়ন্ত্রণের নানা দিক !
সদ্য বিয়ে করেছেন, কিন্তু সন্তান নেবেন একটু দেরিতে। কারও আবার একটি সন্তান আছে, পরের সন্তান নেওয়ার আগে বিরতি চাচ্ছেন কয়েক বছর। অনেকে হয়ে গেছেন দুই সন্তানের বাবা-মা, তাই জন্মনিয়ন্ত্রণে চান স্থায়ী কোনো পদ্ধতি। কেউবা চান প্রসব-পরবর্তী সময়ের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। কেউ আবার চান গর্ভপাত-পরবর্তী সময়ে। জন্মনিয়ন্ত্রণের নানা রকমের পদ্ধতি আছে। তবে একেক দম্পতির জন্য একেক রকম পদ্ধতি ভালো। সবার চাহিদার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিশেষ পরামর্শ, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা এবং সঠিক পরিবার পরিকল্পনা সেবার দরকার হয়। সবার জন্য একই পদ্ধতি কখনো প্রযোজ্য নয়। তাই এ বিষয়টিতে জ্ঞান থাকা বাঞ্ছনীয়।
জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়ার সময়-
কিছু বড়ি বা পিল অবশ্যই প্রতিদিন একই সময়ে গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় পিল গ্রহণ সত্ত্বেও গর্ভবতী হয়ে যেতে পারেন। কিছু পিল আছে যা প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে গ্রহণ না করলেও সমস্যা হয় না। তবে নির্দিষ্ট সময়ে পিল গ্রহণ করলে তা অভ্যাসে পরিণত হবে। তাহলে ভুলে পিল না খাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
পিল খেতে ভুলে গেলে কী করণীয় ?
মনে পড়ার পর যত দ্রুত সম্ভব পিল গ্রহণ করুন বা পরের দিন দুটি পিল সেবন করুন। মনে সন্দেহ থাকলে পিল গ্রহণের পাশাপাশি পরবর্তী মাসিক শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত স্বামীকে কনডম ব্যবহার করতে হবে।
পিলের কার্যকারিতার ওপর কি অন্য কিছু প্রভাব ফেলতে পারে ?
‘কিছু অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ড্রাগ এবং অন্যান্য ওষুধ পিলের কার্যকারিতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এই সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
পিল চালিয়ে যাওয়া অবস্থায় কি প্রেগন্যান্ট হতে পারে?
এ রকম ঘটনা ঘটতে পারে। যদি এমন হয়, তাহলে পিল সেবন বন্ধ করতে হবে এবং বাচ্চা কী অবস্থায় আছে, তা জানতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
জন্মনিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা ব্যক্তিভেদে-
নবদম্পতি বা অল্প বয়সী দম্পতির জন্য শারীরিক পরিবর্তন, গর্ভধারণ প্রভৃতি বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তিন বছর বা পাঁচ বছর মেয়াদি জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ‘ইমপ্লান্ট’ ভালো পদ্ধতি হতে পারে। এ ছাড়া আছে জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল, কনডম প্রভৃতি।
সব পদ্ধতিই নিরাপদ ৩৫ বছরের বেশি নারী যাদের অন্তত দুটি সন্তান রয়েছে এবং আর যাঁরা সন্তান নিতে চান না, তাঁদের জন্য। তবে বয়স্ক নারীদের, যাঁদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেশি অথবা উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাঁদের পিল ও ইনজেকশন ব্যবহার করা উচিত নয়। তাঁদের জন্য কপার-টি এবং স্থায়ী পদ্ধতিই বেশি উপযোগী।
যাঁদের একটি সন্তান আছে কিন্তু পরবর্তী সন্তান জন্মের আগে কিছুটা সময় চান অর্থাৎ বার্থ স্পেসিং, তাঁদের জন্য তিন মাস মেয়াদি হরমোনাল ইনজেকশন, তিন বছর মেয়াদি ইমপ্লান্ট, পাঁচ বছর মেয়াদি কিংবা মুখে খাওয়ার বড়িও ভালো ব্যবস্থা হতে পারে।
কম বয়সী নারী-পুরুষের স্থায়ী পদ্ধতি, অর্থাৎ নারীর ক্ষেত্রে লাইগেশন ও পুরুষের ভ্যাসেকটমি পদ্ধতি গ্রহণে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
 
সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো
 
                                                                                             
                                                                                             
                                                                                             
                                                                                         
                            
                     
                                                                                         
                            
                     
                                                                                         
                            
                     
                                                                                         
                            
                     
                                                                                         
                            
                     
                                                                                         
                            
                     
                        
                         
                        
                         
                        
                        