যে ৭টি বিষয়ের মাধ্যমে বুঝবেন, আপনি দৃঢ় ব্যক্তিত্বের অধিকারী  !!

যে ৭টি বিষয়ের মাধ্যমে বুঝবেন, আপনি দৃঢ় ব্যক্তিত্বের অধিকারী !!

দৃঢ় ব্যক্তিত্বের অধিকারী মানুষেরা আত্নবিশ্বাসী হওয়ার কারনে অন্যের মনোযোগ পেতে অথবা অন্যের বিবেচনায় জীবন যাপন করেন না। এ কারনেই আশেপাশের বেশীরভাগ মানুষ, তাকে নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে ভুগেন আবার তাকে সমীহ করেও চলেন।

নিচের ৭টি লক্ষন দেখে মিলিয়ে নিন আপনি শক্তিশালী এবং সমীহ জাগানোর মতো ব্যক্তিত্বের অধিকারী কিনা –

 

১. আপনার জীবনে আসা মানুষদের ক্ষেত্রে আপনি বেশ হিসেবী-

আপনি নাক উচুঁ মানুষ নন। কিন্তু সব মানুষের সাথে আপনি মিশতে পছন্দ করেন না। আপনি বিশ্বাস করেন সব মানুষদের সাথে থাকার প্রয়োজন নেই। কিছু টক্সিক মানুষ থাকে যারা জীবনে থাকলে, জীবনে ভালো করার বদলে, জীবন কে আরো বিষিয়ে তুলে। তার চেয়ে তাদের থেকে দূরে থাকাই আপনি শ্রেয় মনে করেন। 

 

২. আপনার জীবনে অন্যদের মনোযোগ পাওয়া গুরুত্বপূর্ন নয়-

আপনি নিজের স্ট্যান্ডার্ড এ চলেন, অন্যের মনোযোগ পাওয়ার জন্য আপনি কাজ করেন না। যতক্ষন পর্যন্ত আপনি নিশ্চিত আপনি সঠিক কাজ করছেন, আপনি নিজের মতো কাজ করে যেতে থাকেন। অন্যেরা কিভাবে দেখছে অথবা ভাবছে সেটাকে আপনি গুরুত্বপূর্ন মনে করেন না। কারন আপনি জানেন কাজ সঠিক হলে, অন্যের সমর্থন বা মতামত গুরুত্বপূর্ন নয়।

 

৩. অপ্রয়োজনীয় কথা বলা বিরক্তিকর লাগে-

অকারন, অহেতুক কথা বলা আপনার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়। কোথাও যাওয়া গুরুত্বপূর্র্ন হলে, সেখানে আপনার একজনের সাথে অনেকটা সময় চুপচাপ বসে থাকতেও আপনার সমস্যা নেই, কিন্তু অহেতুক কথা বলা আপনার পছন্দ না। যে আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ন নয়, তার সাথে অপ্রয়োজনীয় অল্প কথা বলতে হলেও আপনার কাছে বিরক্তিকর লাগে।

 

৪. যারা নতুন কিছুতে আগ্রহী নয়, তাদের সঙ্গ আপনার ভালো লাগে না-

যারা জীবন কে একই রকম একঘেয়ে ভাবে দেখতে পছন্দ করে, নতুন কিছুর প্রতি আগ্রহ বোধ করে না, নতুন কিছু করতে পছন্দ করে না। অথবা যারা স্বার্থপর এবং ভীষন ভাবে আত্নকেন্দ্রিক তাদের সঙ্গ আপনি পছন্দ করেন না। জীবনকে আপনি নতুন নতুন ভাবে উন্মোচন করতে ভালবাসেন। আপনি মনে করেন, প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শেখা বা জানার চেষ্টা করা জীবনের জন্য প্রয়োজনীয়।

 

৫. আপনি চমৎকার শ্রোতা-

আপনি খোলা মনের মানুষ। অন্যের কথা আগ্রহ নিয়ে, মনোযোগ দিয়ে শোনেন। কেউ কোন গোপন কথা বললে, আপনি সেটা সুরক্ষিত রাখেন, আপনার কাছে সেই গোপনীয়তা নিরাপদ। অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি, যুক্তি যদি আপনার মতের সাথে নাও মিলে, এবং যদি আপনি বুঝতে পারেন কোন বিষয়ে আপনার জানাটা ভুল ছিল, আপনি অনায়াসে সেটা মেনে নেন। আপনি মানুষের কাছ থেকে শিখতে সবসময়েই আগ্রহী।

 

৬. আপনি নিজের ব্যর্থতাকে অযুহাত দিয়ে ঢাকতে চান না-

আপনি জানেন, মানুষের জীবনের অধিকাংশ ব্যর্থতার কারন মানুষ নিজে। তাই আপনার যা কিছু ব্যর্থতা সেটাকে আপনি সহজেই স্বীকার করেন এবং তার জন্য কোন অযুহাত দেন না। আপনি জানেন, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়ে যায়। ব্যর্থ হলেও পুনরায় আপনি চেষ্টা করতে থাকেন, তাই নিজের ভুলগুলোকে আপনি সহজ ভাবেই গ্রহন করেন।

 

৭. নতুন অভিজ্ঞতা এবং চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করেন-

আপনি জানেন, নিজের কমফোর্ট জোনের বাইরে গিয়েই মানুষ সবচেয়ে বেশী শিখতে পারে এবং নিজের উন্নয়ন করতে পারে। তাই আপনি নতুন নতুন অভিজ্ঞতা এবং চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করেন। আপনার জীবন চলার পথে যা কিছুই আসুক, সেখান থেকেই আপনি মুল্যবান অভিজ্ঞতা গ্রহন করে নিজেকে সমৃদ্ধ করে চলেন।