 
                                                                    
                            ৪০ বছর বয়সে যে ডায়েট প্ল্যান ফলো করবেন
নারীর ৪০ বয়স ছুইঁ ছুইঁ অবস্থায় ওজন বাড়তে থাকে। কারন এই সময় মনোপজ হওয়ার সময়টা এগিয়ে আসতে থাকে যার কারনে শরীরে হরমোনাল পরিবর্তন শরীরের পুরো সিস্টেমেই ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসে। এই সময় নারীদের খাবার হজমের পরিমান কমতে থাকে যার কারনে ওজনও বাড়তে থাকে। কিন্তু সঠিক ডায়েট প্ল্যান অনুসরন করতে পারলে এবং হেলদি লাইফস্টাইল অনুসরন করতে পারলে আপনি ওজনও নিয়ন্ত্রনের রাখতে পারবেন এবং নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখতে পারবেন।
ডায়েট টিপসগুলো কি কি ?
১. প্রচুর পানি পান করতে হবে-
পানি শূন্যতার সাইড এফেক্ট তো আছেই, তারপর এই বয়সে হরমোনাল পরিবর্তনের কারনে এই সময়ে পানি কম খেলে সেই সমস্যা আরো প্রকট হয়। প্রচুর পানি পান করলে আপনার শরীরের ক্ষতিকর দূষনীয় পদার্থ গুলো সহজেই শরীর থেকে বেড়িয়ে আসবে, ত্বক ভালো থাকবে।
এছাড়া কমলা এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ পানীয় খান। খাবারে লবন কম খাবেন কারন লবন শরীরের জলীয় অংশ শুষে নেয়।
২. স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং অল্প অল্প করে খান-
অল্প করে খাবেন কিন্তু কয়েকবার খাবেন। ৪০ বছর বয়সে এটা হলো সবচেয়ে কার্যকরী ডায়েট প্ল্যান। এই সময় হজম শক্তি কমে যায় তাই খাওয়া কমিয়ে না দিয়ে অল্প করে কয়েকবারে খেতে হবে। এতে খাবার সহজে হজম হবে আবার প্রয়োজনীয় এনার্জীও অটুট থাকবে। চেষ্টা করবেন ৩ ঘন্টা পর পর দৈনিক ৫/৬ বার খাওয়ার। খাবার হবে ভিটামিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ।
যখনই ক্ষুধার্ত বোধ করবেন স্ন্যাকস খান তবে ফ্যাটি এবং কোলেষ্টরেল সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে ফলমূল খান। এটি আপনার ক্ষুধা কমাবে, ওজন বাড়াবে না আবার বেশী খাওয়ার সুযোগ কমাবে।
খাবার তৈরি ক্ষেত্রে সুস্বাদু লাগার জন্যে তেল/ঘি এর বদলে বিভিন্ন ধরনের মশলা ব্যবহার করুন।
৩. ক্যাফেইন পরিহার করুন-
কফি শরীরের টক্সিন বাড়িয়ে দেয়। চা/কফি কমানোর কথা শুনলেই আতঁকে উঠছেন, কিন্তু ৩০ বছর বয়সে যা সহজ ছিল ৪০ বছরের কাছে এসে সেটা আপনাকে কিছুটা হলেও ছাড় দিতে হবে। অনেকে বলে কফির অনেক সুবিধা আছে, কিন্তু কফির সুবিধার আড়ালে অসুবিধাও কম নেই।
কফি ত্বকের গ্লো কমিয়ে দেয়, চুল পড়া বাড়ায়। তাই যখন কফি খেতে ইচ্ছে করবে তখন একটি আপেল খান। আপেল আপনার শরীরের হজম বাড়াবে, প্রয়োজনীয় নিউট্রেশন যোগাবে। কথায় আছে না ‘প্রতিদিন একটি আপেল খান, ডাক্তার থেকে দূরে থাকুন’
৪. হাসি-খুশী থাকুন-
হাসিখুশী থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ন। বয়সের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার ৪০ বছরের কাছাকাছি পৌছে অধিকাংশ নারীরা ডিপ্রেশনে ডুবে যান, তখন এই ডিপ্রেশনে মধ্যে ডুবে থেকেই নিজের কাজ চালিয়ে যান, সংসারে প্রাত্যহিক দায়িত্ব পালন করে যান। তারা নিজেদের যত্ন নেয়া ভুলে যান, নিজেকে খুশী করার কথা ভুলে যান। কিন্তু অন্যকে সুখী করার পাশাপাশি নিজেকেও সুখী করতে হয়, তাই আপনার ভালো লাগার বিষয়গুলোতেও মনোযোগ দিন।
সপ্তাহে নিজের জন্য কিছুটা সময় রাখুন, মুভি দেখতে যেতে পারেন, ঘুরতে যেতে পারেন।
৫. নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন-
৪০ বছর বয়সের দ্বারপ্রান্তে লাইফস্টাইলে কিছুটা পরিবর্তন আনতে হবে।ফিট থাকতে, ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতে নিয়মিত হাটুন, ইয়োগা করুন। এক্সারসাইজ আপনার শরীর এবং মন দুটিরই সুস্বাস্থ্য বজায় রাখবে।
৪০ বছর বয়সের পর নিজের শরীরের অভ্যন্তরীন পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে আপনার বাহ্যিক কর্মকান্ডতেও পরিবর্তন আনুন। তাহলেই আপনি চমৎকার ভাবে এই সময়ের সাথে ব্যালেন্স করে নিয়ে, সুস্থ এবং ফিট থাকতে পারবেন। এই ডায়েট প্ল্যানটি ৫০ বছরের বয়সের জন্যেও বেশ কার্যকরী। আপনি ৪০ থেকে ৫০ যেই বয়সেই থাকুন না কেন, শুধু নিয়ম মেনে খাবেন, এক্সারসাইজ করবেন, কিছুটা সময় বিশ্রাম নিবেন এবং হাসিখুশী থাকবেন দেখবেন আপনি কত সহজে সবকিছু পার করতে পারছেন।
ছবিঃ সংগৃহীত
 
                                                                                             
                                                                                             
                                                                                             
                                                                                         
                            
                     
                                                                                         
                            
                     
                                                                                         
                            
                     
                                                                                         
                            
                     
                                                                                         
                            
                     
                                                                                         
                            
                     
                        
                         
                        
                         
                        
                         
                        
                        