চুলের যত্নে পেয়াজের রস
প্রাত্যহিক জীবনে স্ট্রেস, ধুলাবালি আমাদের ত্বক ও চুলের অনেক ক্ষতি করে। এর কারনে চুল পড়া সমস্যা যেমন দেখা দেয় তেমনি খুশকি, চুল রূক্ষ হয়ে যাওয়া, মাথার ত্বকে চুলকানি ইত্যাদি সমস্যা গুলো দেখা দেয়। এ সমস্যা গুলো থেকে রেহাই পেতে পেয়াজের রস ব্যবহার করে দেখুন। কারন পেয়াজে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা আপনার মাথার ত্বক সুস্থ রাখবে সেই সাথে চুল পড়া কমাবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
কিভাবে করবেন পেয়াজের চুলে মাস্ক জেনে নিন-
উপাদান কি কি লাগবে ?
বড় পেয়াজ নয়, ছোট পেয়াজ নিবেন, আপনার চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী পেয়াজের রস কতটা লাগবে সে অনুযায়ী পেয়াজ নিবেন।
এই এসেনশিয়াল অয়েল থেকে কোন একটি অথবা দুটি অয়েল নিন(টি ট্রি এসেনশিয়াল অয়েল, রোজমেরি এসেনশিয়াল অয়েল, সিডার উড এসেনশিয়াল অয়েল)
অলিভ অয়েল।
নারিকেল তেল।
কিভাবে তৈরি করবেন-
১ম ধাপ- পেয়াজের খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে, ব্লেন্ড করে নিন। এবার এই পেয়াজের পেষ্টটি ছেকে রস আলাদা করে নিন। এর থেকে কিছুটা রস আলাদা করে নিন, সেই রসটি তুলার বলের সাহায্যে সমস্ত চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিন।
২য় ধাপ- এবার আলাদা করে রাখা বাকি পেয়াজের রস এর সাথে ১০/১২ ফোটা এসেনশিয়াল অয়েল, এক চামচ অলিভ অয়েল এবং নারিকেল তেল মিশিয়ে নিন।
৩য় ধাপ- চুলে এই মিক্সারটি লাগিয়ে নিন।২ ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।
টিপসঃ
- এই হেয়ার ট্রিটমেন্টটি তৈলাক্ত এবং নরমাল চুলের জন্য যথার্থ। তবে আপনার চুল শুস্ক হলে আপনিও ব্যবহার করতে পারবেন, সেক্ষেত্রে তুলার সাহায্যে চুলের গোড়ায় পেয়াজের রস লাগানোর পর, বাকি রসে এসেনশিয়াল অয়েলের সাথে কিছুটা মধু-অলিভ অয়েল যোগ করুন।
- এসেনশিয়াল অয়েল না থাকলে, শুধু নারিকেল তেল ও অলিভ অয়েলও মিশিয়ে লাগাতে পারবেন।
- কিছু সমস্যা হলো, পেয়াজের রসের গন্ধটা খুব শক্তিশালী এবং চুল ধোয়ার পরও কিছুটা থেকে যায় কিন্তু এতটুকু আপনাকে মেনে নিতে হবে।
- প্রতিবার পেয়াজের তাজা রস ব্যবহারের চেষ্টা করবেন।
- আপনার চুলে কোন সমস্যা না থাকলেও এই হেয়ার ট্রিটমেন্টটি করতে পারেন, এর মাধ্যমে চুল আরো স্বাস্থোজ্জ্বল হবে।
- একদিন পর পর এই মাস্কটি লাগাতে পারেন। তবে সাথে সাথে রেজাল্ট আশা করবেন না। এক মাস নিয়মিত ব্যবহার করার পর দেখুন এর প্রভাব দেখতে পাবেন।
ছবিঃ সংগৃহীত