বিয়ের অনুষঙ্গ
পানচিনি, হলুদসন্ধ্যা, বিয়ে আর বৌভাত মানেই বিশাল ধুমধামের আয়োজন। বিয়ের পোশাকের বাইরেও প্রয়োজন হয় নানা অনুষঙ্গ। সেসব অনুষঙ্গেও থাকা চাই চলতি ফ্যাশন ধারা। দোকান ঘুরে সেটারই এক ঝলক এখানটায়।
গয়না-
পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কনেরা বেছে নিচ্ছেন স্বর্ণ, স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া গয়নাসহ রুপা ও হীরার গয়না। গলায় মুক্তার কয়েক লহরের হারও পছন্দ করছেন অনেকে। কানে থাকবে ঝুমকা অথবা ঝোলানো কানের দুল। মাথায় তাজ পরার প্রচলন এখন আর তেমন একটা দেখা যায় না। খোঁপার জমকালো কাঁটার চাহিদা বেশি। সেই সঙ্গে টিকলি বা সিতাপাটি, টায়রা, ঝাপটার নকশায় নতুনত্ব এবং আধুনিকতার ছোঁয়া। খুব সাধারণ নকশার বাহারি রঙের কুন্দনের গয়না পছন্দ করছেন বেশির ভাগ কনে। হাতে চওড়া চূড়ের চল আবার নতুনভাবে ফিরে এসেছে। রতন চূড়, মানতাসা, কোমরে বিছা, বাজুও পরছেন অনেকে। বর শেরওয়ানির সঙ্গে এক বা দুই লহরের মুক্তার মালা পরতে পারেন। যেকোনো রঙের শেরওয়ানি সঙ্গে মানানসই। এ ছাড়া পাথর বা কুন্দনের ব্রোচও পরতে পারেন।
জুতা ও নাগরা-
বিয়েতে কনের জন্য সোনালি, রুপালি, মেরুন, ম্যাজেন্টা ইত্যাদি রঙের জুতা বেছে নিচ্ছেন অনেকে। পেনসিল হিল বা স্টিলেটোর পাশাপাশি পাথর বসানো জুতা চলছে এই সময়ে। বরের জন্য শেরোয়ানির সঙ্গে নাগরা ছাড়া আর কিছুই যেন মানায় না। সোনালি, চাঁপাসাদা আর মেরুন রঙের নাগরা চলতি ধারায় বেশি জনপ্রিয়।
ওড়না-
ওড়নায় লেস, জরি, পাথরের কাজ চলছে। মসলিনের পাশাপাশি কাতান, জামদানি, লেইসের ওড়নাও শোভা পাচ্ছে কনের মাথায়।
পাগড়ি-
বরের মাথায় পাগড়ি এখনো জনপ্রিয়। শেরওয়ানির সঙ্গে পাগড়ি নিয়ে আসে একটা রাজসিক ব্যাপার।
বটুয়া ও ক্লাচ-
কনের হাতে বটুয়া বা ক্লাচ অনেকটাই আবশ্যক। উজ্জ্বল কাপড়ে লেস অথবা পাথর বসানো কাজ বেশি দেখা যাচ্ছে। শাড়ির কাজের সঙ্গে মিলিয়ে অথবা বিপরীত রঙের বটুয়া বা ক্লাচ ব্যাগ নিচ্ছেন এখনকার কনেরা।
কটি-
শেরওয়ানির সঙ্গে কোটি ও উত্তরীয় জনপ্রিয় এখন বরের পোশাকে।
সূত্র- দৈনিক প্রথম আলো, নকশা
ছবি-সংগৃহীত