বিয়ের গহনা কেনার টিপস
সঠিক গহনা নির্বাচন করাটাও বেশ সচেতনতার বিষয়, আপনার পোষাকের সাথে সঠিক গহনাই আপনাকে করে তুলতে পারে অনুষ্ঠানের সবার মধ্যে আলাদা কেউ, আর সেটা যদি হয় বিয়ের গহনা তাহলে তো টেনশন দ্বিগুন, কারন আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন দিনে আপনি যে গহনা পরবেন সেটাকে স্পেশাল হতে হবে, কিন্তু কিভাবে কিনবেন সেটাও আপনাকে চিন্তায় ফেলে দেয়, তাই বিয়ের গহনা কেনার সময় আপনি যা মনে রাখতে পারেন তার জন্যে আমাদের অল্প কিছু টিপসঃ
১. আগে আগেই কিনে ফেলুন-
বিয়ের দুদিন আগে কিনতে না যেয়ে, হাতে সময় থাকলে, বিয়ের মাস খানেক আগে থেকে কেনাকাটা শুরু করুন, বিয়ের ৭দিন আগে যেন আপনার বিয়ের পোশাক-গহনা সব তৈরি হয়ে যায়। এর মাধ্যমে ধীর স্থির ভাবে আপনি সঠিক গহনা নির্বাচন করতে পারবেন, তাড়াহুড়ায় কোন কিছুই ভালো মতো করা যায় না। প্রয়োজনে বিভিন্ন গহনার দোকানে একদিন ঢু মারুন, পরের কোনদিন যেয়ে যে গহনা আপনার পারফেক্ট মনে হয়েছে কিনে নিয়ে আসুন, এতে আপনি সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্যে কিছুটা সময় পাবেন।
২. প্রথমে বিয়ের পোশাক কিনুন-
আপনি শাড়ি বা লেহেঙ্গা যেটাই বিয়েতে পড়বেন সেটা আগে কিনুন। তাহলে গহনা কেনার সময় স্টোন কালার, গহনার রং, ডিজাইন আপনার শাড়ী বা লেহেঙ্গার সাথে কালার, নেকলাইন ম্যাচিং করে নিতে পারবেন, পরে দেখা যাবে আগে গহনা কেনার কারনে গহনার স্টোন কালার বা গোল্ড কালার ঠিকমতো পোশাকের সাথে ম্যাচ করছে না।
৩. নির্ভরযোগ্য কারো পরামর্শ নিন-
কি ধরনের জুয়েলারী কিনবেন সে ব্যাপারে আপনার মা, হবু শাশুড়ী, বন্ধু-কাজিন বা আপনার কাছের কারো থেকে পরামর্শ নিতে পারেন, আপনি হয়তো মর্ডান ডিজাইন ভাবছেন কিন্তু আপনার শাশুড়ী বা মা চান আপনি কিছুটা ট্রাডিশনাল গহনা পরুন, তাহলে আপনি ক্ল্যাসিক্যাল স্টাইলের মডার্ন ভার্সন গহনার ডিজাইন বেছে নিন, আপনার আধুনিকতা এবং তাদের ট্রাডিশনাল ইচ্ছা দু্টাই পূরন হবে।
৪. টাইম লেস গহনা বেছে নিন-
বিয়ের পর, অন্যান্য সময় গুলোতে যেন এই গহনা ব্যবহার করতে পারেন সেটা মাথায় রাখুন। কারন বিয়ের গহনাগুলো বেশ খরচ করেই কেনা হয়, কিন্তু সেই দামী গহনা শুধু বিয়ের অনুষ্ঠান ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না এমন যেন না হয়।
৫. কেনার সময় নমনীয় হোন-
আপনার পছন্দের গহনার ডিজাইন যেটা মনে ছিল সেই অনুযায়ী না পেলে আবার টেনশনে ঘুম হারাম করে ফেলবেন না। মাথায় এক ডিজাইন ঘুরছে কিন্তু সেই অনুযায়ী পাচ্ছেন না বলে টেনশন করার কিছু নেই, দোকানে অন্য যে ডিজাইন সেখানেও নজর রাখুন, হয়তো আপনার মনে রাখা ডিজাইনের চেয়ে সেগুলো আরো বেশী সুন্দর, আপনি নিজের মনে রাখা ডিজাইন খুজছিলেন বলে, এই ডিজাইন গুলো আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে। আর যদি একান্তই আপনার পছন্দের সাথে কম্প্রোমাইজ করতে না চান, তাহলে অর্ডার দিয়ে হাতে সময় রেখে তৈরি করে নিন।
৬. নেকলাইন মনে রাখুন-
আপনার ব্লাউজ বা লেহেঙ্গার নেকলাইন হিসেব করে গহনা বেছে নিন, যদি ডীপ নেকলাইন হয় তাহলে হেভী চোকার সেট বেছে নিন আর যদি হাই নেকলাইন হয় তাহলে লম্বা ঝুলের নেকলেস বেছে নিন।
৭. বিয়ের সাজের হেয়ার স্টাইল মনে রাখুন-
আপনি বিয়ের দিনের সাজে কেমন হেয়ার স্টাইলের ইচ্ছা রাখেন সেই অনুযায়ী কানের দুল কিনুন। যদি চুল নিচু করে বাধা থাকে তাহলে ঝুলানো কানের দুল পড়ুন আর যদি বান বা খোপা স্টাইলে চুল বাধেন তাহলে মিডিয়াম দৈর্ঘ্যের কানের দুল পড়ুন।
৮. আপনার মুখের শেপ বিবেচনায় রাখুন-
সব ধরনের গহনা সবার চেহারার সাথে মানায় না, রাউন্ড বা গোল ফেসের জন্য নেকলাইন থেকে কিছুটা দীর্ঘ নেকলেস এবং লম্বা দুল ভালো লাগবে, ওভাল শেপ হলে সব ধরনের গহনাই ভালো লাগবে কারন এ ধরনের ফেস শেপ কে আদর্শ ফেস শেপ মনে করা হয় এবং এর ক্ষেত্রে সব ধরনের গহনাই ভালো লাগে। রেক্টেঙ্গুলার ফেস শেপের জন্য চোকার স্টাইল নেকলেস এবং গোল কানের দুল ভালো লাগবে। হার্ট শপ ফেসের জন্য ছোট কাটের নেকলেস এবং চোকারের সাথে ঝোলানো মুক্তা বা পাথর দেয়া নেকলেস ও মাঝারি দৈর্ঘ্যের কানের দুল ভালো লাগবে।
ছবিঃ সংগৃহীত