যে ৬ উপায়ে লেহেঙ্গার ওড়না পড়তে পারেন

যে ৬ উপায়ে লেহেঙ্গার ওড়না পড়তে পারেন

সামনেই বিয়ের মৌসুম। কোন না কোন বিয়ের  দাওয়াত লেগেই থাকে এ সময়। আর সেই অনুষ্ঠানে সবাই চায় বর-কনের পাশাপাশি নিজেকেও দেখতে ঝলমলে লাগুক। বর্তমানে লেহেঙ্গা অনুষ্ঠানে পরার জন্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পোশাক হিসেবে তাই অনেক মেয়েই বেছে নেন লেহেঙ্গা। লেহেঙ্গা মোটামুটি বেশ দাম দিয়েই কিনতে হয়। তাই সেই লেহেঙ্গাকে যদি ভিন্ন ভিন্ন স্টাইলে পরতে পারেন, তাহলে লুকটা বদলে যায় এবং একই লেহেঙ্গাকে ভিন্ন অনুষ্ঠানে বার বার ব্যবহার করতে পারেন।

 

১. হাতের সাথে বেধেঁ নিন-

এটি সিম্পল একটি স্টাইল কিন্তু আপনাকে এলিগ্যান্ট একটি লুক দিবে। এর জন্যে ওড়নাকে ভাঁজ করে ছবিতে যেমন দেখা যাচ্ছে তেমনি করে ডান কাধে দিয়ে সামনে আচল রাখুন। সামনে ওড়না আপনার হাটুরঁ নিচ পর্যন্ত লম্বা রাখুন। কাধে সেফটিপিন দিয়ে আটকে নিন। অন্য প্রান্তটি সামনে এনে ভাজ করে হাতের সাথে পেচিয়ে নিয়ে সেফটিপিন দিয়ে আটকে নিন। অন্য কারো সাহায্য নিয়ে হাতে সেফটি পিন লাগান, আর যদি কারো সাহায্য নেয়ার সুযোগ না থাকে তাহলে আগে পিন দিয়ে আটকে তারপর সেটিতে হাত গলিয়ে নিন।

 

২. হাফ শাড়ী স্টাইল-

সাউথ ইন্ডিয়ান স্টাইলে এটি পড়া হয়। এই স্টাইলে কোমরে কাপড় জড়িয়ে থাকে বলে বেশ স্লিম মনে হয়। ওড়নার একটি প্রান্ত ছবির মতো করে ভাজঁ করে ডান পাশ দিয়ে এনে বাম কাধে সেফটিপিন দিয়ে আটকে নিন। অন্য প্রান্তটি বাম দিকের কোমরের পাশ দিয়ে কোমরের ডান দিকের কাছাকাছি গুজে নিন। সামনের দিকটাতে দেখতে যেন ভি শেপ মনে হয় আর পিছনে কোমরের দিকটাতে যেন লুজ না থাকে সেটা নিশ্চিত করুন।

 

৩. রাজস্থানী পাল্লু স্টাইল-

যদি আপনার লেহেঙ্গার ব্লাউজে কাজ কম থাকে আর ওড়নাতে কাজ বেশী থাকে তাহলে এই স্টাইলটা বেশ কাজে দিবে। ওড়না ভাঁজ করে ছবির মতো করে ডান কাধেঁ সেফটিপিন দিয়ে লাগিয়ে নিন। লম্বাটা সামনের দিকে হাটু পর্যন্ত যেন থাকে। তারপর একটি কোনা ধরে বাম কাধে সেফটিপিন দিয়ে আটকে দিন। এসময়ে খেয়াল রাখুন সামনের দিকে ওড়নার শেপটা যেন ভি আকৃতির মনে হয়। প্রয়োজনে পিন ব্যবহার করুন। অন্য প্রান্তটি কোমরের বাম দিকে গুজে নিন। যাদের শরীরের উপরের দিকটা বেশ ভারী তাদের জন্যেও এটি বেশ ভালো উপায়। কারন ভি শেপ এর দিকে সবার মনোযোগ চলে যাবে আপনাকেও স্লিম লাগবে।

 

৪. উল্টা পাল্লু স্টাইল-

এই স্টাইলটি বেশ আনকমন এবং ইন্টারেস্টিং। প্রথমে ওড়না ভাজ করে নিয়ে বাম কাধের উপর দিয়ে পেছনের দিকে নিন। দৈর্ঘ্যে সেটা যেন পেছন দিকে যেন পায়ের পাতা পর্যন্ত থাকে। ওড়নার অন্য প্রান্তটি থাকবে পেছন দিকে দিয়ে বাম দিকের কোমরের দিকে গুজে দিন। এবার বাম কাধের উপরে যে প্রান্তটি পিছনে রেখেছিলেন সেটি কোমরের বাম দিকের যেখানে আগের প্রান্তটি গুজে  দিয়েছিলেন, সেখানেই এটাও গুজে দিন। এই স্টাইলে লেহেঙ্গা পড়লে আপনার লুকটাই ডিফারেন্ট মনে হবে।

 

৫. বাঙ্গালী স্টাইল-

বাঙ্গালী শাড়ী পরার ধরন থেকে এই ষ্টাইলটি করা হয়েছে। ওড়না ভাজ করে সেফটিপিন দিয়ে ডান কাধের উপর আটকে নিন। সামনে থেকে ওড়নার একটি প্রান্ত আপনার কোমরে পেচিঁয়ে নিয়ে কোমরের পাশে গুজে নিন। এবার পেছনের প্রান্ত থেকে একটি কোনা ধরে সামনে দিয়ে বাম কাধের উপর ভাজ করে এমন ভাকে সেফটিপিন দিয়ে আটকাবেন যেন শাড়ীর বর্ডার শুধু দেখা যায়।

 

৬. ফ্লোয়িং স্টাইল-

যদি আপনার লেহেঙ্গার ওড়নার কাজ বেশ ভারী হয় এবং আপনি চান ওড়নার কাজে সবার মনোযোগ থাকুক তাহলে এই স্টাইলে পড়তে পারেন। এতে একই সঙ্গে আপনি আপনার প্রবলেম এরিয়া গুলো ঢেকে রাখতে পারবেন এবং ওড়নার সৌন্দর্য তুলে ধরতে পারবেন।

 

 

 

ছবিঃ সংগৃহীত