শুস্ক ত্বকের অধিকারীরা যা করবেন না
শুস্ক ত্বকের যত্ন একটু বেশীই প্রয়োজন হয়, কারন সব ঋতুতেই শুস্ক ত্বকের ময়েশ্চারাইজার এর প্রয়োজন পড়ে। আপনার ত্বক যদি শুস্ক হয়, তাহলে যত্ন করার পাশাপাশি কিছু বিষয় আপনার করা উচিত নয়।
১. স্ট্রং ফেশিয়াল ক্লিনজার ব্যবহার করা-
স্ট্রং ক্লিনজারের উপাদানগুলো বেশ শক্তিশালী হয়, কেমিক্যালও বেশী থাকে। এ ধরনের ক্লিনজার আপনার শুস্ক ত্বক কে আরো বেশী শুস্ক করে তুলে। তাই মাইল্ড ক্লিনজার ব্যবহার করুন যেন আপনার স্কিনের ন্যাচারাল অয়েল বিদ্যমান থাকতে পারে। আরো বেশী ভালো হয় যদি বাজারের ক্লিনজার এর বদলে দুধ, বেবী অয়েল অথবা অলিভ অয়েল দিয়ে ক্লিনজিং এর কাজটি করতে পারেন।
২. অ্যালকোহল প্রোডাক্ট ব্যবহার-
অনেক বিউটি প্রোডাক্টেই অ্যালকোহল ব্যবহার করা হয়, যা শুস্ক ত্বকের শত্রু। কারন আর কোন কিছুই আপনার ত্বককে এত বেশী শুস্ক করে না যেটা অ্যালকোহল করে। তাই শুস্ক ত্বকের অধিকারীরা পন্য কেনার সময় উপাদান এর মধ্যে আলফা-হাইড্রোক্সি এসিড থাকলে সেই পন্য এড়িয়ে চলুন।
৩. ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলে যাওয়া-
শুস্ক ত্বক খুবই স্পর্শকাতর, এই ত্বকের শীত অথবা গরম সব সময়েই বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। আপনার সারা শরীরে লোশন লাগাতে তাই ভুলে যাবেন না কোন সময়েই। খুব বেশী কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহার না করে আপনি কোকো বাটার বা শিয়া বাটার ব্যবহার করতে পারেন আপনার ত্বকে ময়েশ্চারাইজার করার জন্য।
৪. হট এবং লং শাওয়ার-
হট শাওয়ার শরীরের ত্বক থেকে প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে ফেলে যা আপনার ত্বক কে শুস্ক করে তোলে। যদিও আমরা শীতে গরম পানির লম্বা শাওয়ার নিতে বেশ আরাম বোধ করি কিন্তু এটা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই হট লং শাওয়ার এর থেকে দুরে থাকার চেষ্টা করুন। আর গোসলের আগে শরীরে অলিভ অয়েল মেখে নিতে পারেন ত্বকে আর্দ্রতা যোগানোর জন্য।
৫. খুব বেশী স্ক্রাবিং করা-
খুব বেশী স্ক্রাবিং ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। সপ্তাহে ১ দিন অথবা ২দিন স্ক্রাবিং করুন। চেষ্টা করুন প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে যেমন মধু এবং ওটমিল ব্যবহার করে আপনার ত্বকের স্ক্রাবিং করতে পারেন। মধু আপনার ত্বকে আর্দ্রতা যোগাবে আর ওটমিল মরা ত্বক তুলে ফেলবে।
৬. খাবারে তেলের অভাব-
আপনার সারা শরীরে যতই ময়েশ্চারাইজার লাগান না কেন, আপনার শরীরে সৌন্দর্য আনতে পারবেন না যদি শরীরের ভেতর থেকেও আপনি পুষ্টি যোগাতে না পারেন। তাই নারিকেল তেল, কড লিভার তেল অথবা ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ ডিম রাখুন আপনার খাবারে।
৭. রেজার ব্যবহার করা-
শরীরে অবাঞ্ছিত লোম দূর করার জন্য রেজার যদিও বেশ সহজ পদ্ধতি কিন্তু এটা শুস্ক ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক। শেভিং আপনার প্রয়োজনীয় তেলগুলোকেও তুলে ফেলে, আপনার স্কিন হয়ে যায় আরো বেশী শুস্ক। তাই রেজর কম ব্যবহার করে অন্য পদ্ধতি অবলম্বন করুন, আর যদি একান্তই রেজার ব্যবহার করতে চান, তাহলে শেভিং এর পর ত্বকে অনেক বেশী ময়েশ্চারাইজার লাগান।
ছবি- সংগৃহীত