কয়েকটি অ্যান্টি এজিং ফেসপ্যাক
বলিরেখা, চামড়া ঝুলে পড়া, ছোট ছোট তিল সব্ই ত্বকের বয়স বেড়ে যাওয়ার কারনে যেমন হয় বায়ুদূষনের কারনে অল্প বয়সেও ত্বকে বার্ধক্য চলে আসে। আপনি বয়স কে আটকে রাখতে পারবেন না, বিভিন্ন দূষন কে নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন না কিন্তু ত্বকের যত্ন নেয়ার মাধ্যমে ত্বকের বার্ধক্য কে যদি কিছুটা দূরে রেখে নিজের তারুণ্য ধরে রাখতে পারেন, তাহলে সেই চেষ্টা কেন করবেন না? বাজারে বিভিন্ন ব্রান্ডের এন্টি এজিং পন্য এখন বেশ জনপ্রিয় যদিও এগুলোতে কেমিক্যাল থাকে এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে কিছুটা অনিশ্চয়তা থেকেই যায়। তাই বাসায় বসে যদি আপনি নিজে এগুলো তৈরি করে নিতে পারেন তাহলে আর কেমিক্যাল এর ভয়, টাকা খরচের ঝামেলা থাকে না। আজ তাহলে এমন কিছু এন্টি এজিং ফেস মাস্ক নিয়েই কথা হোকঃ
১. শসা এবং এলোভেরার ফেস প্যাক-
উপাদান-
শসা, ২ টেবিল চামচ টকদই, এলোভেরা জেল, লেবুর রস।
প্রণালী-
কয়েক টুকরা শসা ভালো ভাবে পেষ্ট তৈরি করে নিন, এর সাথে টকদই এবং কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে ভালো ভাবে মিক্স করে নিন। মুখে পেষ্টটি লাগিয়ে শুকানোর জন্য অপেক্ষা করুন, শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২. সবুজ আপেল, আলু এবং লেবুর রসের ফেস প্যাক-
উপাদান-
আধা কাপ সবুজ আপেল পেস্ট, ২ টেবিল চামচ আলুর পেষ্ট, লেবুর রস।
প্রণালী-
সব উপাদানগুলো একসাথে মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করে নিন। মুখে লাগিয়ে নিন পেষ্টটি, তারপর শুকাতে দিন, শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩. ডিমের কুসুম এবং মধুর ফেসপ্যাক-
উপাদান-
ডিমের কুসুম, ২ টেবিল চামচ মধু।
প্রণালী-
২ টেবিল চামচ মধুর সাথে ২/৩ ফোঁটা পানি নিয়ে ভালো মতো মিশিয়ে নিন। কুসুম ফেটিয়ে তারসাথে মধু মিশিয়ে নিন। এই পেষ্টটি মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
উপকারিতা-
ডিম এবং মধু ত্বকের ঝুলে পড়া রোধ করে, ত্বক টানটান করে।
৪. কলা, টকদই এবং মধুর ফেস মাস্ক-
উপাদান-
১ টি পাকা কলা, ২ টেবিল চামচ টকদই, ২ টেবিল চামচ মধু।
প্রণালী-
পাকা কলা চটকে নিয়ে এর সাথে টকদিই মিশিয়ে নিন। কয়েক ফোটা মধু মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। মুখে পেষ্টটি লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন। ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
উপকারিতা-
এই মাস্কটি ত্বকের কোলাজেনের পরিমান বাড়ায় যা ত্বকের বলিরেখার কমাতে সাহায্য করে।
৫. হলুদ এবং মধুর মাস্ক-
উপাদান-
২ টেবিল চামচ টকদই, ১ টেবিল চামচ হলুদের গুড়া বা পেষ্ট।
প্রণালী-
টকদই এবং হলুদের গুড়া ভালোভাবে মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করে নিন। এই পেষ্টটি মুখে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
উপকারিতা-
হলুদের গুড়া তাৎক্ষনিক ভাবে ত্বক উজ্জ্বল করে এছাড়া এতে অ্যান্টি অ্যাজিং উপাদান আছে।
৬. বেসন এবং মসুর ডালের ফেস প্যাক-
উপাদান-
আধা কাপ বেসন, দুই টেবিল চামচ মশুর ডাল।
প্রণালী-
মসুর ডাল গুড়া করে নিয়ে এর সাথে বেসন মিশিয়ে নিন। পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করে নিন। ত্বকে পেষ্টটি লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়ার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
উপকারিতা-
মশুর ডাল এবং বেসন ব্ল্যাক স্পট এবং বলি রেখা কমায়।
৭. মধু এবং কমলার রসের ফেস মাস্ক-
উপাদান-
২-৩ টেবিল চামচ মধু এবং ২ টেবিল চামচ কমলার রস নিন।
প্রণালী-
মধু এবং কমলার রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন, শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
উপকারিতা-
কমলার রস থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকে তারুণ্য নিয়ে আসে আর ট্যান দূর করে।
আপনার ব্যবহারের পরের অভিজ্ঞতা আমাদের জানান, লগ ইন করে কমেন্টস করুন।
ছবি- সংগৃহীত