বেণি কখনোই পুরোনো হওয়ার নয়
আমাদের দেশে গতানুগতিক বেণি, খেজুর বেণি আর ফ্রেঞ্চ বেণির চলনই বেশি দেখা যেত। গত ১০-১৫ বছরে বেণিকে নানাভাবে বাঁধার পরীক্ষা–নিরীক্ষা চলছে, জানালেন রূপবিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমীন। পরিপাটি ও আরাম—দুটো অনুভবই পাওয়া যায় বেণির মাধ্যমে।
কিশোরী বা তরুণীরা এক বেণিকেই নানা স্টাইলে বাঁধছে। একটু অগোছালো বা হালকা করে বাঁধা বেণিগুলো এই বয়সের সঙ্গে মানানসই বেশি। পাশ্চাত্য পোশাকের সঙ্গেও মানিয়ে যায়। অন্যদিকে নিপাট ভদ্রভাবে বাঁধা পুরোনো আমলের বেণিগুলো চলে যাবে দেশীয় পোশাকের সঙ্গে। বেণি কখনোই পুরোনো হওয়ার নয়—এমনটাই মনে করেন তানজিমা শারমীন। ইউরোপে বেণি করা হতো চুলকে পরিষ্কার রাখার জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের হপি সম্প্রদায়ের বিবাহিত নারীরাই শুধু চুলে বেণি করতে পারেন।
বিডস এবং নতুন ধারার বাঁধনে বেণিতে এসেছে বৈচিত্র্য। ছবি: কবির হোসেনবেণির নামেও আছে ভিন্নতা। ফ্রেঞ্চ বেণি, ফিশটেইল বেণি, ডাচ বেণি, চার দড়ির বেণি, মোড়ানো বেণি, ওলটানো বেণি ইত্যাদি। একই বেণি উপস্থাপন করা হয় নানা আঙ্গিকে। মজাটা এখানেই। কানের দুই পাশে বাঁধা গতানুগতিক বেণিগুলোকে যখন এক কান থেকে আরেক কানের পেছনে রিবন দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়, নাম হয়ে যায় কান বেণি। এই গতানুগতিক বেণিটাকেই যখন গোল করে মোড়াতে থাকবেন, গোলাপের মতো হয়ে যাবে। এই বেণি দিয়েই চার কোনা ঘর করে ফেলতে পারবেন পুরো চুলজুড়ে। স্টাইলের শেষ নেই। আছে শুধু শুরু। লম্বা মুখে যখন বেণি করবেন, এক পাশে সিঁথি করে করুন। এতে লম্বাটে ভাবটা কমে যাবে। আবার গোল চেহারার জন্য চুল কিছুটা ছেড়ে ছেড়ে বেণি করা যেতে পারে। মুখের ফোলা ভাব কম লাগবে।
বেণির তিনটি ভাগকে তুলনা করা হয় শারীরিক, মানসিক ও আত্মিকতার সঙ্গে। এই তিন যখন এক হয়ে যায়, তখন চমৎকার কিছু হবে, এমনটাই তো স্বাভাবিক। তখন তা হয়ে ওঠে অনন্যসাধারণ।
সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো
ছবিঃ কবির হোসেন