পড়ুন কুন্দনের গয়না

পড়ুন কুন্দনের গয়না

সাজে পূর্ণতা আনতে গয়নার ভূমিকা অপরিসীম। শুধু গয়নার ব্যবহারের কারণেই আটপৌরে শাড়ি পরেও আপনি হয়ে উঠতে পারেন অনন্য। সুতি শাড়ির সঙ্গে ধাতব, মাটি, কাঠ, পুঁতি, কাপড় কিংবা অপ্রচলিত যে কোনো ধরনের গয়নাই মানিয়ে যায়। তবে এক্ষেত্রে শাড়ির রঙ, ধরন আর পরার ধরনটা মাথায় রাখতে হবে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শাড়ির রঙেরও পছন্দ পাল্টায়। যদিও এখন অনেকেই রঙের পার্থক্য করতে নারাজ। সে কারণেই সম্ভবত কালারফুল বর্ণিল সব ডিজাইনের শাড়ি এখন সব বয়সীর পছন্দের শীর্ষে। একই শাড়ির সঙ্গে শুধু গয়না পরিবর্তন করলেই সাজে অনেকটা পার্থক্য চলে আসে। এভাবে একই শাড়ি ও গয়না বেশ কয়েকবার পরেও নতুন লুক আনা যায়।

 

 

নারীর সাজের অনন্য উপকরণ হলো কানের দুল। আর অলংকার বলতে মেয়েরা সবার আগে হাতে তুলে নেয় কানের দুল। কানের দুল হলো সেই অলংকার যা নারীর ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তোলে। একটা সময় ছিল যখন স্বর্ণ, আর এমিটেশন দুলের ব্যাপক ব্যবহার। তবে হাল ফ্যাশনে সব বয়সী নারীর মাঝেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে জাংক জুয়েলারি। মেটাল, বিডস, পিতল, বাঁশ, কাঠ, হাড়গোড়, মাটি, সুতা, ধাতু, পালক, নারকেলের মালা, ঝিনুক, শামুকের খোলাসহ নানা উপকরণ দিয়ে তৈরি এসব কানের দুলের নকশায় করা হচ্ছে নানা রকম এক্সপেরিমেন্ট। নকশাতে এখন আদিবাসী থিমও চলছে বেশ। কানপাশা, মিনা করা ঝুমকা, নকশার ঝুমকা, মাকড়ি, কলকা, চুড়, ঘণ্টিসহ নানা ডিজাইন রয়েছে এসব কানের দুলে। তবে সবকিছু টপকে কুন্দনের রয়েছে আলাদা কদর। এই ধরনের দুল সাধারণত লম্বা হয়। কানের পাতায় থাকে ছোট গোলাকার অংশ এবং ঠিক তার নিচের অংশটি বেশ বড় মাপের গোলাকার হয়। ডিজাইন ভেদে এই থিমে ছোট বড় ঘণ্টা, পাতা বা ঝুলানো পাথর ব্যবহার করা হয়। এগুলো চাঁদবলি কুন্দন, স্টোন চাঁদবলি কুন্দন, কুন্দন ঝুমকি, গোল্ড প্লেটেড কুন্দন চাঁদবলিসহ আরও অনেক নামে পরিচিতি পায়। দোকান ভেদে এসব দুলের দামে থাকবে ভিন্নতা। ১০০ টাকা থেকে ইমিটেশনের একটি কুন্দন ৩ হাজার পর্যন্তও দাম হাঁকাতে পারে দোকানি।

 

 

 

 

 

সূত্রঃ দৈনিক বিডি প্রতিদিন

ছবিঃ সংগৃহীত