কিছু ব্লাশঅন মিসটেক থেকে দূরে থাকুন

কিছু ব্লাশঅন মিসটেক থেকে দূরে থাকুন

আমরা বেশীর ভাগ নারীরাই মেকআপে অনভিজ্ঞ হাতে কাজ চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করি, সঠিক ভাবে সব টেকনিক ঠিকমতো এপ্লাই করা যায় না প্রফেশনাল নই বলে। কিন্তু নিজের হাতে মেকআপ করতে পারার আনন্দটাই আলাদা, সেজন্যে সঠিক টেকনিক গুলো রপ্ত করে নিতে পারলে খুব সহজেই অনেক ভুল এড়িয়ে গিয়ে পারফেক্ট মেকআপ করা যায়। আজ ব্লাশঅনের মিসটেকগুলো নিয়ে বলবো যেগুলো আপনি সচেতন থাকলেই এড়িয়ে যেতে পারেন।

 

১. ভুল শেড বেছে নেয়া-

নিজের জন্যে ব্লাশ বেছে নেয়ার সময় সঠিক কালার, সঠিক টোন এবং সঠিক ফর্মুলেশন বেছে নেয়া জরুরী। ব্লাশ কেনার সময় স্কিন টাইপ এবং কমপ্লেকশন সম্পর্কে মনে রাখতে হবে। ফর্সা ত্বকের জন্য লাইট পেল ব্লাশ বেছে নিতে হবে।

কারন ব্লাশ চিককে দৃশ্যমান করে এবং মেকআপকে পরিপূর্ন করে।

 

২. পরিমান বুঝে লাগানো-

বেশী বেশী কোন কিছুই ভালো নয়, মেকআপের ক্ষেত্রে তো এটা আরো বেশী প্রযোজ্য। আপনার মাশকারা, লিপস্টিক বা ব্লাশ যেটাই বেশী হবে, আপনার পুরো লুকটাই নষ্ট করে দিবে। তাই ব্লাশ কম পরিমানে লাগাবেন আর যদি ভুলে কিছুটা বেশী হয়ে যায় তাহলে হাতের উল্টো পিঠ চাপ দিয়ে সেটা কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করবেন।

 

৩. ত্বকের ধরন অনুযায়ী-

ব্লাশ সাধারনত সব ত্বকের জন্যই পাউডার ফর্মে পাওয়া যায়। তবে ড্রাই স্কিনের জন্য ক্রিম ব্লাশ এবং অয়েলি স্কিনের জন্য জেল ব্লাশ বেষ্ট চয়েজ হতে পারে।

 

৪. বেশী উচুঁতে বা বেশী নিচুতে লাগানো-

আপনার চিকের ভারী অংশে ব্লাশ লাগানো উচিত। আপনি হাসলে আপনার চিকের যে অংশটি সবচেয়ে উচু দেখায় সেটাই ব্লাশ লাগানোর উপযুক্ত স্থান।

কেউ কেউ বেশী উচুঁতে একেবারে চুল পর্যন্ত স্পর্শ করে ব্লাশ লাগান, আবার কেউ চিকবোনের নিচে লাগান।

সঠিক স্থানে লাগানোর পাশাপাশি হালকা স্পর্শে একবার বা দুবার সুইপে ব্লাশ লাগাবেন যেন ন্যাচারাল মনে হয়।

 

৫. বেশী টাচ আপ করা-

টাচ আপ করার জন্যে খুব বেশী পাউডার বা কমপ্যাক্ট ব্লাশের উপর ব্যবহার করলে, ব্লাশের সঠিক কালার ফেড হয়ে যায়, এরপর যদি ব্লাশের উপর আবার ব্লাশ দিয়ে টাচ আপ করতে যান সেটা মেকআপকে একদম নষ্ট করে দিবে, মেকআপ কেকি মনে হবে। তাই খুব বেশী টাচ আপ না করাই ভালো, বেস মেকআপ করার পর কমপ্যাক্ট দিয়ে মেকআপ সেট করে তারপর ব্লাশ লাগানোর চেষ্টা করবেন।

 

৬. ব্লাশ ঠিকমতো ব্লেন্ড না করা-

সঠিক ব্রাশ দিয়ে ব্লাশ ভালোভাবে ব্লেন্ড করা জরুরী। ব্রাশের সাহায্যে ব্লাশ লাগানোর আগে ঝাকি দিয়ে বাড়তি পাউডার ঝেড়ে নিন তারপর চিকস থেকে মুখের কোন পর্যন্ত স্ট্রোক আকারে লাগিয়ে নিন। ব্লাশ লাগানোর পর ন্যাচারাল করার সঠিক উপায় হলো খুব ভালোভাবে ব্লেন্ড করা।

 

৭. ব্লাশ দিয়ে কনট্যুর করা-

কনট্যুরিং মুখের শেপ কে সঠিক ভাবে তুল ধরে। অনেকেই ব্লাশ দিয়ে মুখের কনট্যুরিং করেন। কিন্তু ব্লাশ এর চাইতে কনট্যুরিং প্রোডাক্ট দিয়েই ভালোভাবে কনট্যুরিং সম্ভব। তাই ব্লাশ দিয়ে কনট্যুরিং ঠিক নয়।

 

৮. নাকের কাছে নিয়ে আসা-

পারফেক্ট ব্লাশ লুক পেতে দুই গালে সঠিক ভাবে ব্লাশ লাগানো জরুরী। সেই সাথে ব্লাশ যেন নাকের সাথে  ইঞ্চি খানেক দূরত্বে থাকে সেটাও লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি নাকের সাথে ব্লাশ মিলে যায়, আপনাকে দেখলে মনে হবে আপনি ঠান্ডা লাগার রোগে ভুগে এমন লাল হয়ে গেছেন।

তাই ব্লাশ লাগানোর পূর্বে হাসুন এবং দেখুন আপনার গালের আপেল অংশটুকু চিহ্নিত করে সেখানে ব্লাশ লাগান এবং নাক থেকে ইঞ্চি খানেক দূরত্ব রাখুন।

 

 

 

ছবিঃ সংগৃহীত