আর নয় রূক্ষ চুল

আর নয় রূক্ষ চুল

চুলের যত্নে আমরা কত কী-ই না করি। তার পরও বাগে আনতে পারি না চুলকে। ঝরে যায়, রুক্ষ হয়ে যায়। কত রকম সমস্যা। চুল যখন রুক্ষ হয়ে যায়, তখন তা থেকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন এর ঠিকঠাক যত্ন। বিন্দিয়া বিউটি পারলারের রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি জানাচ্ছেন রুক্ষ চুলের যত্নটা কেমন হবে।


শারমিন কচি বলেন, ‘চুল রুক্ষ হওয়ার নানা কারণ রয়েছে। প্রথমত, আমাদের আবহাওয়া। আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় জলীয় বাষ্পের অভাবে মাথার তালু গরম হয়ে যায়, যার প্রভাব পড়ে আমাদের চুলে। আবার অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহার অর্থাৎ রিবন্ডিং, রং করা ইত্যাদি কারণেও রুক্ষ হতে পারে চুল। চুল আয়রন করা বা ব্লো ড্রাই করার কারণেও রুক্ষ হতে পারে। তাই চুল রুক্ষ হওয়ার আগেই আমাদের মনোযোগী হতে হবে। আবার রুক্ষ হয়ে গেলেও এর জন্য রয়েছে আলাদা যত্নের প্রয়োজন।’


ব্যবহার করুন মৃদু শ্যাম্পু
মৃদু শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। অল্প পরিমাণ শ্যাম্পু নিয়ে একটুখানি পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। আমলা, ব্রাহ্মীসমৃদ্ধ শ্যাম্পু বেছে নেওয়ার চেষ্টা করুন। কন্ডিশনারসমৃদ্ধ শ্যাম্পু কিনতে পারেন।


দরকার সঠিক কন্ডিশনার
কন্ডিশনার চুলের ওপর সুরক্ষার আস্তর তৈরি করে চুলকে আরও মজবুত করে তোলে। প্রোটিন ও তেলসমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। মেহেদিও ব্যবহার করতে পারেন। কন্ডিশনারের মতো মেহেদিও চুলকে নরম ও মসৃণ করে। রুক্ষ চুল শ্যাম্পু করার পর ক্রিম কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। অল্প পরিমাণ কন্ডিশনার নিয়ে হালকাভাবে চুলে ম্যাসাজ করুন। চুলের ডগায় লাগাতেও ভুলবেন না। দুই মিনিট পর পরিষ্কার পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।


রুক্ষ চুলের সঠিক যত্ন
চুল রুক্ষ হওয়ার আগে প্রতিরোধ হিসেবে বাইরে বের হওয়ার আগে চুল ঢেকে বের হতে পারেন। এতে ধুলা-বালু-রোদ প্রতিরোধের মাধ্যমে রুক্ষতার কবল থেকে বাঁচবে আপনার চুল। আর রুক্ষ চুলের যত্নে যা করতে পারেন, তা হলো এক টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে এক চা-চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে গরম করে লাগান। একটু ঠান্ডা করে মাথার তালু ও চুলে ম্যাসাজ করুন। এরপর গরম পানিতে তোয়ালে ডুবিয়ে নিংড়ে মাথায় পাগড়ির মতো জড়িয়ে রাখুন পাঁচ মিনিট। এটা সপ্তাহে তিন থেকে চারবার করুন। এতে মাথার তালুতে ও চুলে সহজেই তেল প্রবেশ করবে।

 
সপ্তাহে একবার ডিপ কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট করতে পারেন। একটি ডিম, এক টেবিল চামচ আমন্ড অয়েল, একটি লেবুর রস ও এক চা-চামচ গ্লিসারিন বা মধু একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মাথার তালুতে ও চুলে ভালো করে ম্যাসাজ করে পলিথিনের টুপি পরে এক ঘণ্টা থাকুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। গ্লিসারিন ও মধু চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। মধু ও আমন্ড চুলে পুষ্টি জোগায়।

চুল অতিরিক্ত শুষ্ক বা ভঙ্গুর হলে ডিমের কুসুমের সঙ্গে সামান্য জলপাই তেল মিশিয়ে চুলে লাগান। এরপর নরম কাপড় মাথায় পেঁচিয়ে এক ঘণ্টা রাখুন। তারপর মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

 

সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো, নকশা