ফ্যাশন ট্রেন্ডে মালা
সৌন্দর্য আর ঐশ্বর্যের প্রতীক মুক্তা-পাথর। কেবল আভিজাত্য বাড়াতেই নয়, ফ্যাশন ট্রেন্ডেও এর জৌলুস বিকল্পহীন।
গয়নার উপকরণ হিসেবে মুক্তা এবং পাথরের গয়নার কদর বিশ্বজুড়ে। শুধু আভিজাত্য প্রকাশেই নয়, ফ্যাশনে লুক বদলাতেও সবার পছন্দের শীর্ষে। তবে অনুষঙ্গ এক থাকলেও ব্যবহারের ধরনই পাল্টে দেয় আপাদমস্তক ভিউ। আজকাল ফ্যাশনের সব ধারায়ই গয়না হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে হরেক রকমের মুক্তা আর পাথরের তৈরি মালা। আবার সেগুলো মানিয়ে যাচ্ছে সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেও।
আগেকার মিসরীয় ও চীনা রাজবংশে এসব ফ্যাশনেবল গয়না ছিল অত্যন্ত মূল্যবান। এখনো তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু এখন পশ্চিমা ও পূর্বের মিশেলে তৈরি গয়নাগুলোর দাপট রয়েছে প্রায় সমানতালেই। কিছুকাল আগেও আঁটসাঁট গয়নায় আভিজাত্য প্রকাশ পেত। সেই ধারা বদলেছে। বর্তমানে চলছে লম্বা ঝুলের বৈচিত্র্যময় মালা, যা পশ্চিমা পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে যাচ্ছে তেমনি বাঙালিয়ানাতেও আনছে নতুনত্ব। কেউ কেউ আবার নিজস্বতা প্রকাশে ব্যবহার করছেন শর্ট কামিজের সঙ্গেও।
সাধারণত এসব গয়না লম্বা ব্যাপ্তিতে গলায় জড়িয়ে থাকে। কখনো কখনো তা দুই-তিন ধাপে প্যাঁচানোও হয়। মূলত গলার একটি বড় অংশ জুড়ে থাকে মালার অস্তিত্ব। শার্ট কিংবা টপসের সঙ্গেও বেশ মানানসই।
অনুষ্ঠান বা অফিসিয়াল যে কোনো জামদানি, সিল্ক বা মসলিনের সঙ্গে ট্রাই করতে পারেন এসব গয়না। সুতির ফতুয়া, কুর্তি বা তাঁতের শাড়ির সঙ্গে পুঁতির মালার সঙ্গে পয়সা লকেটের ছিমছাম মালা বেছে নিন কিংবা ছোট বেশকিছু পয়সার মালা গলা-লাগোয়া করে পরুন।
সুতা, কাঠ, পুঁতি নানা উপাদানে তৈরি এই মালাকে অনেক ডিজাইনার আবার পয়সা দিয়েও তৈরি করছেন। গ্ল্যামার ভাব আনতে ব্যবহার করছেন মুক্তা।
নান্দনিক এসব মুক্তা-পাথরের গয়না পাবেন বসুন্ধরা সিটি শপিংমল, যমুনা ফিউচার পার্ক, পিংক সিটি, পুলিশ প্লাজা সহ ধানমন্ডি-গুলশানের বিভিন্ন শপিংমলে।
এ ছাড়া অঞ্জন’স, কে-ক্র্যাফট, বিশ্বরঙ, রঙ বাংলাদেশ, কুমুদিনী, আড়ং, মায়াসিরসহ বিভিন্ন বুটিক হাউসেও পাবেন এসব গয়না।
জেনে রাখুন-
প্রতিবার ব্যবহারের পর ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে তুলে রাখুন। সম্ভব হলে খানিকটা রোদে রাখতে পারেন। ময়লা হলে কিংবা কোনো দাগ পড়লে ডিটারজেন্ট দিয়ে না ধুয়ে ড্রাইওয়াশ করান। মেটালের গয়নার সঙ্গে কাপড়ের গয়না রাখবেন না।
সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন
ছবিঃ সংগৃহীত