কিভাবে আপনার সঙ্গীকে খুশী রাখবেন ?
সম্পর্ক একই সঙ্গে সহজ আবার জটিল, প্রতি মুহুর্তে এটি পরিবর্তনশীল। কিছু বিয়ে টিকে থাকে ৭০ বছর আবার কিছু বিয়ে ৭২ দিনও টিকে না। সব মানুষই সম্পর্কে প্রবেশ করে দীর্ঘ সময় টিকিয়ে রাখার প্রত্যাশায়। তবে সবাই সেটা পেরে উঠে না। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্যে কোন গোপন সূত্র জানতে হয় না, বরং জেনারেল কিছু গাইড লাইন আছে যা অনুসরণ করলে আপনিও সম্পর্ক কে অর্থবহ করে তুলতে পারেন।
১. আপনার সঙ্গীকে প্রাধান্য দিন-
সারাদিনের শত কাজের ভীড়ে সম্পর্ক কে হাড়িয়ে যেতে দিবেন না। অফিসের কাজ, বাচ্চাকে নিয়ে ব্যস্ত, অন্যান্য কাজের ভীড়ে সঙ্গীকে ছোট একটি এসএমএস করতে পারেন, বাসায় ফেরার সময় সঙ্গীর প্রিয় কোন স্ন্যাকস নিয়ে আসতে পারেন, এভাবে ছোট ছোট কিছু কর্মকান্ডের মাধ্যমে আপনার সঙ্গীকে জানতে দিন সে আপনার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ন।
২. নিজেকে সম্মান করুন-
সম্পর্ক কে কার্যকরী করতে সঙ্গীকে অবশ্যই প্রাধান্য দিবেন তবে নিজের যত্ন নিতে ভুলে যাবেন না, সঙ্গীকে সারাক্ষন প্রাধান্য দিচ্ছেন কিন্তু সঙ্গীর কাছ থেকেও আপনি আপনারটুকু আদায় করে নিন। মনে রাখবেন আত্নবিশ্বাসও ব্যক্তিত্বের আকষয়নীয় একটি অংশ। নিজেকে যে অবহেলা করে, অন্যেরাও তার প্রতি মনোযোগী হয় না, আপনার সঙ্গীও বুঝবে আপনার আত্নসম্মানবোধ প্রখর, আপনার প্রতিও মনোযোগের প্রয়োজন আছে এটা তাকে জানতে দিন। আপনি সঙ্গীর যত্ন নিবেন তবে নিজেকে অবহেলা করে নয়।
৩. শারীরিক সম্পর্ক কে এড়িয়ে যাবেন না বা ব্যবহার করবেন না-
সময়ের সাথে সাথে শরীর পরিবর্তিত হয়, প্রথম প্রথম শারীরিক সম্পর্ক যতটা আবেগঘন থাকে সেটা সময়ের সাথে কমতে থাকে, তবে অনেকেই মনে করেন, এখন বয়স হয়ে গেছে, বিয়ের অনেক দিন চলে গেছে শারীরিক সম্পর্ক ততটা প্রয়োজনীয় না। এটা একেবারেই ভুল ধারনা, সেক্স দাম্পত্য জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন একটি অংশ। তাই সেক্স কে কোন অযুহাতে এড়িয়ে না গিয়ে উপভোগ্য করে নিন।
আবার তুমি এটা না করলে সেক্স করতে পারবে না, এমন কোন শর্ত দিয়ে সেক্স কে সঙ্গীর সাথে ব্যবহার করবেন না।
৪. মনকে খোলা রাখুন-
প্রত্যেকের রুচিবোধ আলাদা, ভালো লাগার বিষয় আলাদা। আপনার সঙ্গীর কথা মনোযোগ সহকারে শুনুন, তার ভালো লাগার বিষয়গুলো যখন আপনার সাথে শেয়ার করতে চায়, সেটা সাথে আপনার ভালো লাগা না মিললেও আপনার দৃষ্টিকোন থেকে বিচার করতে যাবেন না। তার কথাগুলো, শিশুসুলভ আচরণগুলোকে আগ্রহের সাথে উপভোগ করুন।
৫. ফ্লার্ট করুন-
সঙ্গীর সাথে ফ্লার্ট না করলে আর করবেন কার সাথে ? তাছাড়া মাঝে মাঝে দুজন বেড়াতে যান, নতুন কিছু ট্রাই করুন।
৬. ছোট খাট বিষয়গুলোও মনে রাখুন-
সঙ্গী যখন তার ছোটখাট বিষয় গুলোও মনে রাখে সেটা সবাইকেই সুখের অনুভূতি দেয়। তার পছন্দের খাবার কি, তার পছন্দের খেলা কি, তার পছন্দের রং কি, সে কি করতে ভালোবাসে ইত্যাদি বিষয়গুলোকে যদি আপনি মনে রাখতে পারেন, আর সেগুলো সাথে মিল রেখে কিছু দিয়ে মাঝে মাঝে তাকে চমকে দিকে পারেন, আপনার সঙ্গী সেটা ভুলবে না।
৭. স্যাক্রিফাইস করতে শিখুন-
সম্পর্কে থাকার বড় শর্ত হলো দু পক্ষকেই স্যাক্রিফাইস করতে হবে। আপনার সঙ্গীর প্রয়োজনে আপনার অনেক ভালো লাগার বিষয়কেও জলাঞ্জলি দিতে শিখুন।আপনি যেটা পছন্দ করেন সেটাকে প্রাধান্য না দিয়ে আপনার সঙ্গীর পছন্দকে, ভালোলাগাকে সুযোগ দিন।
৮. তাকে সহযোগিতা করুন-
তার সুসময়, দুঃসময়ে সবকিছুতে আপনি পাশে থাকুন, সে নতুন কিছু করতে চাইলে সেটার সাথে সহযোগিতা করুন। তবে যদি আপনার মনে হয় সঙ্গী ভুল করতে যাচ্ছে, তখন বিদ্রুপ না করে যুক্তি দিয়ে তাকে বুঝিয়ে বলুন কেন নতুন কিছু করাটা তার ঠিক হবে না।
ছবিঃ সংগৃহীত