গরমে অফিসের সাজ
বছরের প্রায় ৯ মাসই পড়ছে গরম। তবু অফিসে থাকতে হবে পরিপাটি। সতেজ লুক ধরে রাখতে সাজ ও পোশাক বেছে নিতে হবে সেই অনুযায়ী।
সাজে থাকুন সতেজ-
সকালে অফিসের জন্য তড়িঘড়ি বের হতে হয়। সাজের জন্য আলাদা সময় বের করা বেশ কঠিন। কিন্তু মিটিং কিংবা প্রেজেন্টেশন থাকলে ত্বকে একটু ফ্রেশ টাচ-আপ না থাকলে চলে না। বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ বিউটি কেয়ারের রূপ বিশেষজ্ঞ শারমিন কচি বলেন, অফিসের সাজের জন্য এক্সিকিউটিভ মেকআপ ও হেয়ার স্টাইল বেছে নেওয়া ভালো। মেকআপ হবে হালকা এবং দেখতে একেবারেই ন্যাচারাল, যাকে বলে ‘নো মেকআপ লুক’। আর এই সময়ে এই সাজ তো একেবারে পারফেক্ট।
মুখের মেকআপের জন্য প্রাইমার ব্যবহার করতে পারেন। প্রাইমার ব্যবহার করলে মেকআপ সহজে বসে এবং ফাটে না। যেহেতু অফিসে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা কিংবা আরো বেশি সময় ধরে থাকতে হয়, তাই প্রাইমার ব্যবহার করা ভালো। রোদে যেতে হলে প্রাইমারের আগে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নেবেন। প্রাইমারের পর অল্প কনট্যুরিং করুন। এরপর মুখের টি জোন হাইলাইট করুন। প্রাণবন্ত দেখাবে। তবে মনে রাখতে হবে—মেকআপ যাতে খুব বেশি চোখে না লাগে। খেয়াল রাখতে হবে, স্কিনটোন যাতে বেশি ব্রাইট না দেখায়। এরপর কমপ্রেসড পাউডার লাগিয়ে বেইজ মেকআপ শেষ করতে হবে। এরপর হালকা করে ব্লাশন ব্যবহার করুন। অফিসে চোখের খুব বেশি সাজ বেমানান। কাজল দিতে পারেন। সঙ্গে ঘন করে মাশকারা। প্রয়োজনে হালকা আইশ্যাডো। লিপস্টিক ব্যবহারে বেশি উজ্জ্বল রং বেছে না নেওয়াই ভালো। অফিসের কাজের ধরন আর নিজের রুচি অনুযায়ী হালকা যেকোনো রং বেছে নিন। তবে খেয়াল রাখুন, লিপস্টিক যেন দীর্ঘস্থায়ী হয়। পছন্দমতো ম্যাট বা গ্লসি—যেকোনো লিপস্টিকই ব্যবহার করতে পারেন। ঠোঁট শুষ্ক হলে আর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে থাকলে ময়েশ্চারাইজারযুক্ত লিপগ্লস লাগান।
অফিসে চুল বেঁধে রাখাই ভালো। উঁচু করে পনিটেল স্টাইলে বাঁধতে পারেন। কিংবা ফ্যাশেনেবল যেকোনো স্টাইলে খোঁপা করে নিন। চুল লম্বা হলে বেণিও করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনার কাজ ও ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই যেকোনো বেণি করে ফেলতে পারেন। যদি চুল বেশি বড় হয়, সে ক্ষেত্রে হাতখোঁপা করতে পারেন।
কেমন পোশাক-
‘আমাদের দেশে নারীদের অফিস বা কর্মস্থলের পোশাক বলতে বিশেষ কোনো পোশাক নেই। কিছু কিছু অফিসে ড্রেস কোড থাকলেও বেশির ভাগ স্থানে নারীরা কাজের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়েই পোশাক বেছে নেন। সেটি শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, টপস, কুর্তি, ওয়েস্টার্ন থেকে শুরু করে নানা কিছু। বৈশাখ-ফাল্গুনের আলাদা প্রডাক্ট লাইন থাকলেও নারীদের অফিস পোশাকের বিষয়টি এখনো সেভাবে গড়ে ওঠেনি। হয়তো ভবিষ্যতে হবে। ফ্যাশন হাউসগুলোও তা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে।’ এমনটাই জানালেন ডিজাইনার কনসালট্যান্ট চন্দ্রশেখর সাহা। তিনি বলেন, ‘আপনি হয়তো লাল টকটকে জামদানি পরে কোনো নারীকে অফিসে যেতে দেখবেন না। কারণ তিনি চান না যে, সেখানে সারাক্ষণ তাঁর দিকে সবাই তাকিয়ে থাকুক। মেয়েরা এখন কাজের পরিবেশের বাস্তবতা, স্বচ্ছন্দ আর ট্রেন্ড অনুযায়ী পোশাক বেছে নিচ্ছেন।’
সূত্রঃ দৈনিক কালের কন্ঠ