ত্বক সুস্থ রাখতে চাই নিয়মিত যত্ন

ত্বক সুস্থ রাখতে চাই নিয়মিত যত্ন

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরাও হাঁপিয়ে উঠি। রোজকার কায়দাকানুন তখন হয়ে যায় একঘেয়েমি ব্যবস্থাপনা। কিন্তু এমনটা ভাবা ঠিক নয়। ত্বককে সুন্দর আর মোহনীয় দেখাতে নিয়ম করে তার যত্ন তো করতেই হবে। মাত্র কয়েকটা ধাপ লক্ষ্য করলেই ধারণা বদলে যাবে।

 

সময় এখন বর্ষার দখলে। এই সময়ে ত্বকে ঘাম ও তেল নিংসরণের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর ওপর ধুলো-ময়লা নোংরা জমতে শুরু করে ত্বক নির্জীব ও অনুজ্জ্বল হয়ে পড়ে। মুখের ত্বকের সঙ্গে হাত-পায়ের ত্বকের নানা সমস্যা শুরু হয়। একটু যত্ন নিলেই এ সমস্যা সমাধান করা সহজ। এ সময় ত্বকের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন আকাঙ্ক্ষাস গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের বিউটি এক্সপার্ট জুলিয়া আজাদ।

 

সূর্যরশ্মি থেকে সুরক্ষা-

সূর্যের ক্ষতিকারক আলট্রা ভায়োলেট রশ্মির প্রভাবে ত্বকের কোরাজেনের ক্ষতি করে। তাই মুখে, গলায় ও ঘাড়ে উচ্চ এসপিএফযুক্ত সানক্রিন লাগাবেন। গবেষণায় দেখা গেছে, সানস্ক্রিন শুধু বাইরের দূষণ থেকেই আপনার ত্বককে সুরক্ষিত রাখে না, কোলাজেন গঠনেও সাহায্য করে।

 

ক্লিনজিং-

রোজকার সাবান ব্যবহারে ত্বক রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে সাবানের পরিবর্তে মাইল্ড সোপ ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের সুস্থতায় প্রাকৃতিক ক্লিনজারও ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে গোলাপজল হতে পারে আপনার বেস্ট অপশন। ত্বক পরিষ্কারে এর ব্যবহার বহু প্রাচীন।

 

স্ক্রাবিং-

কোমল, সুন্দর ত্বক পেতে স্ক্রাবিং করাটা জরুরি। কারণ, ত্বকের নতুন কোষ পেতে পুরনো কোষ দূর করতে স্ক্রাবিং আদিসিদ্ধ। সপ্তাহে তিন দিন স্ক্রাবার ব্যবহার করুন। স্ক্রাবার মুখে ও গলায় লাগিয়ে হালকা হাতে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এ ক্ষেত্রে চালের গুঁড়ি, ওটমিল, দই ও সামান্য মধু একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাবার বানিয়ে নিতে পারেন।

 

ময়েশ্চারাইজিং-

ক্লিনজিংয়ের পর পরই ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করুন, যা ত্বককে রুক্ষতা থেকে বাঁচিয়ে রাখবে। প্রতিদিন গোসলের পর মনে করে লোশন লাগান, এতে ত্বক ভালো থাকবে।

 

ফেশিয়াল-

মাসে একবার করে কোনো ভালো পার্লার থেকে ফেশিয়াল করিয়ে নিন। কারণ, সেখানকার বিশেষজ্ঞরা দক্ষ হাতে বিভিন্ন মাসাজ টেকনিকের দ্বারা ত্বক এক্সফোলিয়েশান এবং ম্যাসাজ করে থাকে এরপর ফেস মাস্কও ব্যবহার করা হয়। ফেশিয়াল ম্যাসাজের ফলে আপনার ত্বকের ওপর জমে থাকা ডেড সেল দূর হওয়ার পাশাপাশি ব্লাড সার্কুলেশন ভালো হবে, টানটান হবে এবং আপনার ত্বকের জেল্লা বাড়াবে।

 

ত্বকের ম্যাসাজ-

ম্যাসাজ সব সময় প্রেসার পয়েন্টে প্রেসার দিয়ে ম্যাসাজ করলে বেশি উপকার পাবেন। ত্বকের অনেক সমস্যাও সমাধান করবে। কিন্তু না জেনে অনেক বেশি প্রেসার দিয়ে ম্যাসাজ করলেও আপনার হিতে বিপরীত হবে। মুখের ত্বক যখন ক্লিন করেন পোর ক্লিনজিং ব্যবহার করা হয় স্কিন টনিকের সঙ্গে রেডি স্কার্ব মিশিয়ে সার্কুলার মুভমেন্টে ম্যাসাজ করেন। এর পানির ঝাপটা দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এভাবে আপনার মুখের ত্বক প্রাণবন্ত হবে। ধুলো-বালি পরিষ্কার হয়ে যাবে। সারাদিন কয়েকবার পানির ঝাপটা দিন। ত্বক সারাদিন ফ্রেশ লাগবে।

 

ত্বকের খাবার-

কসমেটিক বা ফেসিয়ালের এফেক্ট বড়জোর কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন থাকে। কিন্তু খাবারের এফেক্ট শরীরের ওপর অনেক বছর থাকে। তাই দীর্ঘ সময় ধরে ত্বকের ভালো ফল পেতে অবশ্যই খাবারে নজর দিতে হবে।

 

 

 

সূত্রঃ দৈনিক বিডি প্রতিদিন

ছবিঃ সংগৃহীত