৬টি চাইনিজ কিগঙ অ্যান্টি অ্যাজিং এক্সারসাইজ

৬টি চাইনিজ কিগঙ অ্যান্টি অ্যাজিং এক্সারসাইজ

যদি আপনি সঠিক জীবন যাপনের মাধ্যমে শারীরিক, মানসিক এবং স্পিরিচ্যুয়াল প্রশান্তি চান তাহলে আপনি চাইনিজ স্পিরিচ্যুয়াল অ্যাকটিভিটিস কিগঙের কিছু টেকনিক ব্যবহার করতে পারেন। বিখ্যাত টাওইষ্ট গুরু মানতাক চিয়া বিশ্বাস করেন নিয়মিত এই ব্যায়ামগুলোর চর্চা আপনার শারীরিক এবং মানসিক প্রশান্তিই শুধু আনবে না, এটি আপনার জীবনকে বদলে দিবে।

 

কিগঙের অর্থ কি?

কিগঙকে বলা যেতে পারে মন-শরীর-স্পিরিট প্র্যাকটিস যা একজনের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় বিভিন্ন শারীরিক মুভমেন্ট, নিঃশ্বাস প্র্যাকটিস, সেলফ ম্যাসেজ, শব্দ ইত্যাদি মাধ্যমে। কিগঙ স্টাইলের মধ্যে প্রায় হাজার রকমের ধরন আছে। এনার্জিটিক সায়েন্স কিগঙের অর্থ (“কি” হলো ধীর গতির নিঃশ্বাস অথবা ভাইটাল এনার্জী) এবং (“গঙ” হলো ধীর গতিতে চর্চার মাধ্যমে আয়ত্বে আনা)

 

১. নিশ্বাঃস-

এই চাইনিজ গুরু বিশ্বাস করেন নিঃশ্বাসের কিছু সঠিক টেকনিক নিয়মিত চর্চা করলে আয়ু বাড়ানো সম্ভব।

  • নাক দিয়ে ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিন এবং ১-২ সেকেন্ড ধরে রাখুন
  • আবার অল্প নিঃশ্বাস নিয়ে আপনার ফুসফুস পুরোটা বাতাস ভর্তি করে নিন
  • ১-২ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং মুখ দিয়ে আস্তে আস্তে পুরো নিঃশ্বাস ছেড়ে দিন।

এই নিঃশ্বাসের ব্যায়ামটি আপনার পুরো শরীরে এক ধরনের ভারসাম্য তৈরি করবে এবং বাধর্ক্যকে ধীরগতি করে দিবে।

 

২. ওয়ার্মিং আপ-

ওয়ার্মিং আপ খুবই গুরুত্বপূর্ন। এটি হলো ব্যায়ামের জন্য প্রস্তুতি পর্ব এবং এটা কখনোই এড়িয়ে যাবেন না।

  • দাড়িয়ে থেকে আপনার পুরো শরীর রিল্যাক্স করে নিন
  • হাটু একটু বাকিয়ে নিয়ে আপনার পুরো শরীরের ভার দুপায়ে উপর ছেড়ে দিন।
  • আপনার দুপাশে হাত সামনে পিছনে করুন।

 

৩. কিডনী এবং পিছনের অংশের শক্তি বাড়ানোর জন্য-

এই ব্যায়ামটি আপনার কিডনীর কর্মক্ষমতা বাড়াবে এবং শরীরের পিছনের অংশের শক্তি বাড়াবে।

  • দুই পা পাশাপাশি রেখে সোজা হয়ে দাড়ান তারপর পিঠ উচু করে বাকিয়ে হাত পা পায়ের আঙুল পর্যন্ত নিয়ে যান।
  • হাটু ভাজ না করে ধীরে ধীরে পিঠ উচু নিচু করুন।
  • এই ভঙ্গিতে ১০ সেকেন্ড থাকুন, তারপর ধীরে ধীরে আগের অবস্থানে ফিরে যান।
  • এভাবে ৬ বার করুন।
  • যদি সঠিকভাবে আপনি ভঙ্গিটি করতে পারেন তাহলে আপনি কোমরে পেশীতে টান টান ভাব অনুভব করবেন।

 

৪. পিছনের অংশের টান টান ভাব-

এই ব্যায়ামটি আপনার শরীরের ভঙ্গী এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নতি করবে। সেই সাথে রক্তে অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়াবে এবং শরীরের পিছনের অংশ শক্তিশালী করবে এবং টান টান করবে।

  • সোজা হয়ে দাড়ান এবং ধীরে আপনার মাথা পিছনে হেলিয়ে দিন।
  • এই পজিশনে ১৫ সেকেন্ড থাকুন এবং গভীর ভাবে নিঃশ্বাস নিন।
  • ধীরে প্রথম বারে পজিশনে চলে আসুন।
  • ৬ বার পুনরায় করুন এবং দিনে কয়েকবার এই ব্যায়ামটি করুন।

 

৫. স্ট্রেস রিলিফ এক্সারসাইজ-

এই এক্সারসাইজটি পুরো শরীর রিল্যাক্স করবে।

  • দু পা ফাক করে, পায়ের পাতার উপর ভর দিয়ে দাড়ান
  • আপনার বুকের উচ্চতায় হাত উঠিয়ে বুকের বরাবর মুখ থাকবে হাতের উল্টা পিঠের
  • এক হাত পুরো বাড়িয়ে দিন
  • হাত আবার বুকের কাছে নিয়ে আসুন
  • আগের প্রথম পজিশনে ফিরে যান।
  • প্রতি পাশে ৬ বার এই ব্যায়ামটি করুন।

 

৬. পিছনের অংশ স্ট্রেচিং-

এই ব্যায়ামটিকে “দুহাত দিয়ে আকাশ ঠেলে দেয়া” বলা হয় এবং এটি ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ানো এবং শরীরে শক্তি যোগানো সেই সাথে কিডনী, লিভার, পেট এর কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

  • সোজা হয়ে দাড়ান এবং আপনার হাত দুটি সামনের দিকে লক করুন
  • ধীরে নিঃশ্বাস নিতে নিতে হাত মাথার উপরে উঠান, এসময় হাতের উল্টা পিঠ নিচের দিকে নির্দেশ করবে।
  • একই সাথে আপনার পায়ের আঙুলের উপর উচুঁ হয়ে দাড়ান।ধীরে নিঃশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাতগুলো আগের পজিশনে নিয়ে আসুন
  • এভাবে ৬ বার করুন

 

 

 

সূত্রঃ ব্রাইটসাইড

ছবিঃ ইন্টারনেট