স্লিভলেস এর জন্যে ত্বকের যত্ন

স্লিভলেস এর জন্যে ত্বকের যত্ন

স্লিভলেস পোশাকে যেহেতু হাত দুটির ওপর থাকে আলাদা নজর, তাই এর যত্নও নিতে হবে একটু বেশি। পরামর্শ জানালেন এভারগ্রিন অ্যাডামস অ্যান্ড ইভের রূপবিশেষজ্ঞ নাহিদ আফরোজ তানি।

 

গরমে সুতির ঢিলেঢালা জামা পরেও অস্থিরতা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। আরাম পেতে অনেকেই বেছে নেন হাতকাটা বা স্লিভলেস পোশাক। ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হিসেবেও হাতকাটা জামার কদর অন্য রকম। তবে এ ধরনের জামা পরলে সবচেয়ে প্রথমে আমাদের মাথায় আসে, হাতগুলো মোটা দেখাবে না তো ?

 

হাতকাটা জামাটি দেহের স্বাভাবিক মাপের চেয়ে একটু ঢিলেঢালা হলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কথা হলো, ফ্যাশনের খাতিরে পছন্দের হাতকাটা জামাটা তো পরলেন; কিন্তু হাতের ত্বকের কথা ভেবেছেন কি? হাতকাটা জামা পরার কারণে হাতের ত্বকের অংশটুকু সরাসরি রোদের সংস্পর্শে আসে, ফলে অন্য সময়ের তুলনায় ত্বকের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি।

 

আমাদের দেশে মেয়েদের পোশাকে থ্রি কোয়ার্টার, ফুল কিংবা হাফ হাতার প্রচলনই বেশি দেখা যায়। তা ছাড়া শীতের মৌসুমে হাতের অংশটি ঢাকা থাকে। ফলে গরমের সময় সরাসরি সূর্যের তাপে ত্বকে হতে পারে চুলকানি, পুড়ে যাওয়া কিংবা ছত্রাক সংক্রমণের মতো সমস্যা। কয়েকটি ঘরোয়া নিয়ম মেনে চললেই নিশ্চিন্তে পরতে পারবেন হাতকাটা জামা বা ব্লাউজ।

 

গরমে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন সবচেয়ে জরুরি। মুখ ছাড়া শরীরের যে অংশগুলো বাইরে থাকবে সেখানেও সানস্ক্রিন লাগানো উচিত, তাহলে রোদে পোড়াভাব থেকে রেহাই মিলবে। আর বাসায় ফিরে গোসলের পর দেহে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না, বিশেষ করে হাতের খোলা অংশে।

 

যারা পুরো গরমের মৌসুমেই হাতকাটা জামা পরতে আগ্রহী, তাদের জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন স্যালনে গিয়ে বডি স্ক্রাব করতে পারেন। স্যালনে যেতে না চাইলে গোসলের সময় একটি বিশেষ স্ক্রাব তৈরি করে নিতে পারেন : অলিভ অয়েল অথবা নারকেল তেলের সঙ্গে চিনি, লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে শরীরে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট, এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে স্নান সেরে নিন। সপ্তাহে দু-তিন দিন এই বডি স্ক্রাবটি ব্যবহার করতে পারেন। গোসলের স্ক্রাব ব্যবহার করলে সাবান ব্যবহারের প্রয়োজন নেই, তার পরও চাইলে মৃদু সাবান ব্যবহার করুন। গোসল শেষে পুরো দেহ ময়েশ্চারাইজ করে নিন।

 

 

 

 

 

 

 

সূত্রঃ দৈনিক কালের কন্ঠ