কাঁকরোল কেন খাবেন !!!
গ্রীষ্মকালীন সবজি কাঁকরোলকে স্বর্গীয় সবজি বলা হয়। কারন এতে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদানসহ দারুন সব পুষ্টিগুন যা জটিল অনেক রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
কাঁকরোলে ক্যালসিয়াম, লৌহ,ফসফরাস, ক্যারোটিন, ভিটামিন সি ও খনিজ পদার্থ উল্লেখ্যযোগ্য পরিমানে রয়েছে। টমেটোর চেয়ে ৭০ গুণ বেশি লাইকোপিন , গাজরের চেয়ে ২০ গুণ বেশি বিটা ক্যারোটিন, কমলার চেয়ে ৪০ গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে ।
কাঁকরোল কেন খাবেন-
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে-
কাঁকরোলে রয়েছে হাইপোগ্লাইসেমিক গুনাগুন, যা অগ্নাশয়ের বিটাসেলকে সুরক্ষিত রাখে ও পুনর্গঠনে সাহায্য করে। এছাড়া এটি ইনুসুলিন নিঃসরণ ও সংবেদনশীলতা বাড়ায়, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে।
হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবন কমায়-
গবেষণায় জানা গেছে, যাদের শরীরে লাইকোপিনের মাত্রা বেশি তাদের থেকে যাদের শরীরে এর মাত্রা কম থাকে, তাদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা শতকরা ৫০ ভাগ বেশি রয়েছে। কাকঁরোল শরীরে লাইকোপেনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে-
১০০ গ্রাম কাঁকরোলে মাত্র ১৭ ক্যালরি থাকে, তাই ওজন কমাতে কাঁকরোল খেতে পারেন। এছাড়া এটি হজম শক্তিও বাড়ায়। এছাড়া এটি একটি লো ক্যালরির সবজি এবং এতে ফাইবার থাকায় দীর্ঘক্ষন আপনার পেট ভরা রাখতে সাহায্য করবে, হজমের গোলমাল এবং কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো করতে সাহায্য করবে এই সবজি।
ক্যানসার প্রতিরোধী-
দেহে ফ্রি র্যাডিকেলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া ক্যানসারের প্রধান কারন। কাঁকরোলে ভিটামিন ‘সি’ অনেক বেশি থাকে যা প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। দেহের ফ্রি র্যাডিকেলের সংখ্যা কমাতে সাহায্য করে এবং ক্যানসার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
ত্বকে তারুণ্য বজায় রাখতে-
কোষের কার্যক্রমকে উদ্দীপ্ত করার মাধ্যমে এবং স্ট্রেস কমানোর মাধ্যমে বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীরগতির করতে সাহায্য করে কাঁকরোল। কোলাজেনের গঠনকে পুনর্নিমাণের মাধ্যমে বয়সের ছাপ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে এটি। কাঁকরোলে আছে ভুট্টার চেয়ে শতকরা ৪০ ভাগ বেশি জিয়ানথেন এবং গাজরের চেয়ে শতকরা ২০ভাগ বেশি বিটা ক্যারোটিন, আছে ভিটামিন ই। এগুলো ত্বককে দূষণ থেকে রক্ষা করে।
অ্যানিমিয়া দূর করতে সাহায্য করে-
কাঁকরোলে প্রচুর আয়রন থাকার পাশাপাশি ভিটামিন সি ও ফলিক এসিড আছে। এ কারনে নিয়মিত এটি খেলে অ্যানেমিয়া দূর করা সম্ভব হয়।
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়-
কাঁকরোলে চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ভিটামিন, বিটাক্যারোটিন ও অন্যান্য উপাদান থাকে যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায় এবং চোখের ছানি প্রতিরোধেও সহায়তা করে।
কোলেষ্টরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে-
যাদের কোলেষ্টরলের মাত্রা বেশি বা যাদের উচ্চমাত্রার কোলেষ্টরেল রয়েছে তারা নিশ্চিন্তে কাঁকরোল খেতে পারেন। এটি কোলেষ্টরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ছবিঃ সংগৃহীত