হাতের পার্স
নিমন্ত্রণ বা আড্ডা, অনেকেই ঠিক বুঝে উঠতে পারি না সঙ্গের পার্সটি কেমন হওয়া উচিত। পার্সের আকার বা নকশা এমনকি রং নির্ভর করে পরনের পোশাকের ওপরও। ফ্যাশন কনসালটেন্ট এমদাদ হকের সঙ্গে কথা বলে জানাচ্ছেন জিনাত জোয়ার্দার রিপা
ফ্যাশন কনসালট্যান্ট এমদাদ হকের মতে, হাতের পার্স শুধু দরকারি জিনিসই নয়, বহন করে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিত্বও। পার্স, বটুয়া, ক্লাচ—নানা রূপে এর দেখা মিলেছে দশকভেদে। যিনি লম্বা তাঁর হাতে ঢাউস, লম্বা, খানিকটা ভারী পার্স মানিয়ে গেলেও পার্সের বেলায় খাটোদের বেছে নেওয়া উচিত ছোট আকৃতির পার্স। বাকিটা রুচি-পছন্দের ওপর ছেড়ে দেওয়াই ভালো।
পরনের পোশাকটি যদি হয় গাউন বা অধুনা জনপ্রিয় লং ফ্রক, তবে হাতের পার্সটি হবে গাউন বা ফ্রকের ডিজাইনের সঙ্গে মিল রেখে। রাতের পার্টিতে ইনফর্মাল গাউন বা ফ্রকে পার্সের আকার একটু বড় হলে ক্ষতি নেই। তাতে থাকতে পারে কারুকাজও। পার্সের ম্যাটেরিয়াল হতে পারে দুপিয়ান, সিল্ক বা তসর। তবে অনুষ্ঠানের ধরন যদি হয় ফর্মাল, তবে হাতের পার্সের আকার হবে ছোট ও ফর্মাল। সে ক্ষেত্রে ম্যাটেরিয়ালে পিওর লেদার বা রেক্সিনের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
শাড়ির সঙ্গে পার্সটি কিন্তু ম্যাচিংই ভালো। সে ক্ষেত্রে সোনালি বেইজে সোনালি সুতা বা জড়ির কাজ, কালোতে কালো—এমন পার্স যেমন দেবে ট্রেন্ডি লুক, তেমনি আপনার ব্যক্তিত্ব প্রকাশেও হতে পারে দারুণ অনুষঙ্গ
ক্লাসরুম বা বন্ধুর আড্ডায় পোশাকে এখন কুর্তির চল বেশ। কাঁধে ঝুলিয়ে রাখা লম্বা চেইনের পার্স সে ক্ষেত্রে এখন বেশ ট্রেন্ডি। পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারেন অথবা একেবারে কন্ট্রাস্ট কোনো রঙের পার্স তুলে নিতে পারেন হাতে। মনে রাখুন, এই সাজ-পোশাকে ফর্মাল পার্স একেবারে বেমানান। বৈচিত্র আনতে এই ধরনের পার্সের ডিজাইনে অনেকে এখন নিউজপেপার বা ম্যাগাজিনের মোটিফ আনছেন। যদিও জনপ্রিয় ট্রাডিশনাল ঘরানায় জড়ি-চুমকির কাজই বেশি।
আমাদের দেশে মেয়েদের পোশাকে কামিজের চল সবচেয়ে বেশি। এর সঙ্গে মানানসই পার্সের খোঁজও তাই জানা থাকা চাই সবার আগে। কামিজের নকশা আর অনুষ্ঠানের ধরন মাথায় রাখতে পারেন। পরনের কামিজ জমকালো হলে জারদৌসি কাজের পার্স উঠে আসতে পারে হাতে। ঐতিহ্যের প্রতি আপনার মনোযোগ বেশি হলে পছন্দের মোটিফে তৈরি করে নিতে পারেন ফরমায়েশি পার্স। বেইজে বেছে নিতে পারেন জামদানি, কাতান, গামছা চেকের মতো মোটিফও। ভ্যালু অ্যাড করতে চাইতে লাগাতে পারেন কড়ি, পয়সা বা ট্যাসেলের মতো উপাদান।
সূত্রঃ দৈনিক কালের কন্ঠ
ছবিঃ সংগৃহীত