পলো শার্টে আরাম এবং ফ্যাশন
ষোলো বা ছেচল্লিশ; বয়স যতই হোক না কেন, পলো টি-শার্টের আবেদনে বুঁদ সবাই। একদিকে যেমন স্মার্ট লুক নিয়ে আসে অন্যদিকে আভিজাত্য ফুটে ওঠে পুরোদস্তুর। জিন্স, গ্যাবার্ডিন, চিনো সব ধরনের প্যান্টের সঙ্গে সমানভাবে মানানসই নতুন কালেকশনের এসব পলো শার্ট। বাজার ঘুরে বিস্তারিত জানাচ্ছেন— এ কে রাসেল
জিন্স আর পলো শার্ট। ব্যাস! ছেলেদের বাইরে বেরোনোর জন্য এর চেয়ে বেশি কিছুর প্রয়োজন হয় না। সে পার্টি যাওয়া হোক বা বন্ধুদের সঙ্গে পাড়ার মোড়ের আড্ডায়, পলো শার্ট আর জিন্সই কাফি। হালকাফুলকা মেজাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেছে নেওয়া যায় এসব পলো শার্ট। আঙ্গুলের ঢগায় স্মার্টফোন, ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া। বহুরৈখিক ফ্যাশনের রঙিন উপস্থাপনায় তরুণ প্রজন্মের ঝোঁক ওয়েস্টার্ন ফ্যাশনে। সেই ট্রেন্ডকে বাংলাদেশের আবহে নতুন দিগন্ত নিয়ে এসেছে পলো শার্ট। একদিকে যেমন স্বাচ্ছন্দ্যময় অন্যদিকে ফ্যাশনেবলও।
কখনো ক্যাজুয়াল লুকস, কখনো একটু হট লুকস পাওয়ার জন্য পলো শার্টের জুড়ি মেলা ভার। তাই তো তারুণ্য মেতেছে পলো শার্টের ফ্যাশনে। টি-শার্টের মধ্যে অন্যতম এই হট লুকসের কালেকশনটি। অফিস পার্টি থেকে শুরু করে গেট টুগেদার, বন্ধুদের আড্ডায় নিয়ে আসে ভিন্ন লুক, তাও আবার যে কোনো পরিবেশে।
এ প্রসঙ্গে ফ্যাশন হাউস ইজির ডিজাইনার তৌহিদ চৌধুরী বলেন, ‘ফ্যাশন পরিবর্তনশীল, আজ এটা ফ্যাশন তো কাল ওটা! সময় যেমনই হোক একটু হটকে লুকসের জন্য পলো শার্ট তারুণ্যের পছন্দের শীর্ষে। হালকা গরম আর হালকা শীতে বেস্ট অপশন। আরাম আর ফ্যাশন, দুটোই মেলে বলে তারুণ্যও চায় হালকা পোশাকে ফ্যাশনেবল হয়ে উঠতে। নতুন পলোর কালেকশনে থাকছে রং আর ডিজাইনের বৈচিত্র্য।’
রাজধানীর বিভিন্ন শপিং মলের দোকানে ঢুঁ মেরে জানা গেল নতুন প্রজন্মের চাহিদার কথা। সবাই পলোর দিকে ঝুঁকছে ঠিকই কিন্তু নকশা আর বৈচিত্র্য নিয়ে কম বেশি দোটানায় ভুগছে অনেকেই। একদিকে একরঙা পলো যেমন রঙিন উচ্ছল অন্যদিকে রং-বাহারি স্ট্রাইপেও চলছে বাজিতাম। কেউ কেউ আবার ঝুঁকছেন প্রিন্টেড পলোতেও। কলেজপড়ুয়া ছেলেদের মধ্যে বেশি ঝোঁক পলোর কালেকশনে। কিন্তু অফিশিয়াল কর্তারাও আরামের এই ভূষণটিকে বেছে নিচ্ছেন ঘরে-বাইরে সদর্পণেই।
রং ও ডিজাইনে বৈচিত্র্য থাকায় সহজেই প্যান্ট কিংবা জুতার সঙ্গে ম্যাচিং করে পলো শার্ট পরা যায়। ক্যাজুয়াল লুকে পলো শার্টের সঙ্গে জিন্সের প্যান্ট বেশি মানায়। হালকা বা সাদা রঙের টি-শার্ট পরলে নীল বা ছাই রঙের জিন্স ভালো লাগবে। সেমি ফরমাল লুকের সঙ্গে পরতে পারেন গ্যাবার্ডিন বা সুতি প্যান্ট। পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে কন্ট্রাস্ট বা দুটি ভিন্ন হলেই ভালো লাগবে। জুতার পাশাপাশি স্যান্ডেলও পরতে পারেন।
রংই যেন পলো শার্টকে করে তুলেছে গর্জিয়াস। লাল, নীল, কলাপাতা সবুজ, বাসন্তী, ম্যাজেন্টাসহ বিভিন্ন উজ্জ্বল রঙের পোলো শার্টের সঙ্গে জিন্স কিংবা গ্যাবার্ডিন পরে আপনি ক্যাজুয়াল সাজেও হয়ে উঠতে পারেন গর্জিয়াস। উজ্জ্বল রঙের পাশাপাশি পলো টি-শার্টে রয়েছে সাদা, ঘিয়া, বাদামি, হালকা লেবুরঙসহ বিভিন্ন ধরনের শুভ্র রংও। মনমাতানো সব রঙের মধ্যে পেয়ে যাবেন স্ট্রাইপও। একরঙের পাশাপাশি স্ট্রাইপ পলো শার্টও বেশ জনপ্রিয়। এ ছাড়া বোতামহীন পলো শার্টের কদরও কম নয়।
পলোর ফেব্রিকে ব্যবহার করা আরামদায়ক নিট ফেব্রিক। গরমে স্টেচিং নিট কাপড়ের পলো শার্টই সবচেয়ে আরামদায়ক। ১১০ থেকে ১৫০ জিএসএমের নিটেড শার্ট বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এতে কাপড়ের ভিতর দিয়ে সহজে বাতাস চলাচল করতে পারবে। সুতি কাপড় পলো যেমন আরামদায়ক তেমনি তাপ নিরোধক। বেশি তাপ শোষণ করে বলে গরমের সময়টাতে কালো রং এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
ব্র্যান্ডের পলো টি-শার্ট পাওয়া যাবে ৯৫০ থেকে ৩০০০ টাকায়। আর নন-ব্র্যান্ডের পলো পাওয়া যাবে ৩৫০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যেই। পাওয়া যাবে ইজি, প্লাস পয়েন্ট, লা রিভ, ইনফিনিটিসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে।
সূত্রঃ দৈনিক বিডি প্রতিদিন
ছবিঃ দৈনিক বিডি প্রতিদিন এবং দৈনিক যুগান্তর