ল্যাপটপ কিনুন বুঝেশুনে

ল্যাপটপ কিনুন বুঝেশুনে

বাইরেটা দেখেই ল্যাপটপ কিনে ফেলা যাবে না। কেনার আগে জেনে নিতে হবে বহন সুবিধা, ব্যাটারি ব্যাকআপ, গতি, ওয়েবক্যাম প্রভৃতি সুবিধা ঠিকঠাক আছে কি না!

 

যার জন্য যেমন-

কোন ধরনের কাজ করবেন তার ওপর নির্ভর করবে কোন কনফিগারেশনের ল্যাপটপটি উপযোগী। শিক্ষার্থীদের সাধারণ উচ্চ কনফিগারেশনের ল্যাপটপের দরকার হয় না। ২৪ থেকে ৩০ হাজারের মধ্যে এ ধরনের কাজের উপযোগী ল্যাপটপ পাওয়া যাবে। লেখালেখি, ব্রাউজিং বা সাধারণ কাজ অনায়াসে চালিয়ে নেওয়া যাবে এগুলো দিয়ে।

গ্রাফিকস, ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডেভেলপ, অ্যাপ বা সফটওয়্যার ডেভেলপ—এ ধরনের কাজের জন্য উচ্চ গতির ল্যাপটপ ভালো। বাজেট ধরতে হবে কমপক্ষে ৪০ হাজার টাকা। তাই কেনার আগেই সব কিছু মাথায় রেখে বাজেট ঠিক করতে হবে।

 

ভালো-মন্দ-

কয় সেলের ব্যাটারি, ব্যাকআপ কতক্ষণ—এগুলো জেনে নিন কেনার আগেই।

দোকানির দেওয়া ব্যাটারি ব্যাকআপের তথ্য যাচাই করতে ল্যাপটপটি ব্যবহার করে দেখুন। ১০-১৫ মিনিট সাধারণ ব্যবহার ও মাল্টিমিডিয়া ফাইল চালু করে দেখুন—কত শতাংশ চার্জ খরচ হয়েছে। তা থেকেই ধারণা নেওয়া যাবে—১০০ শতাংশ চার্জে কতক্ষণ যাবে।

 

ফ্রি ওএস বনাম বিল্টইন ওএস-

ল্যাপটপের ফিচারে অনেক সময় ‘ফ্রি ওএস’ লেখা থাকে। অনেকে মনে করেন—এটা বুঝি ওপেনসোর্স ওএস বা লিনাক্স। আসলে ‘ফ্রি ওএস’ মানে—যেকোনো ওএস বা অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) ব্যবহার করা যাবে। কোনো কোনো ল্যাপটপে বিল্টইন ওএস বা তৈরির সময়ই অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা থাকে। এ ক্ষেত্রে অপারেটিং সিস্টেমটি লাইসেন্স করা বা অরিজিনাল থাকে। তাই দামও তুলনামূলক বেশি হয়। প্রচলিত ওএসগুলোর মধ্যে আছে—মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ-৭, ৮.১ ও ১০; লিনাক্স, ম্যাক। অপারেটিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে উইন্ডোজই সহজ ও জনপ্রিয়।

 

কী আছে, কী নেই-

ব্যবহারের সময় অনেকে ইউএসবি পোর্টের বাড়তি মাউস, কি-বোর্ড ও মডেম ব্যবহার করেন। কাজের সময় ইউএসবি পোর্টে পেনড্রাইভও ব্যবহার করা লাগতে পারে। এমনটি হলে অন্তত চারটি ইউএসবি পোর্ট থাকতে হবে ল্যাপটপে। অনেকে ল্যাপটপের বিল্টইন স্পিকার দিয়েই মিউজিক শোনেন। তবে সব ল্যাপটপের স্পিকারের সাউন্ড মনমতো না-ও হতে পারে। চাইলে বাড়তি র‌্যাম লাগানো যাবে কি না অর্থাৎ বাড়তি র‌্যাম স্লট আছে কি না কেনার আগে তা-ও জেনে নিন।

 

প্রসেসরের রকমফের-

ল্যাপটপের গতি বা পারফরম্যান্সের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসেসরের। প্রসেসরের বেলায় ভালো ব্র্যান্ড ও ক্ষমতা ঠিকঠাক থাকলে পারফরম্যান্স নিয়ে ভাবতে হবে না। ইন্টেল ও এএমডি ব্র্যান্ডের প্রসেসরই সাধারণত ল্যাপটপে ব্যবহার হয়। ভালো গতির জন্য ইন্টেলের নামডাকই বেশি। ক্ষমতার দিক থেকে প্রসেসরের বিভিন্ন স্টেজের মধ্যে আছে—অ্যাটম, সেলেরন, পেন্টিয়াম, সেন্ট্রিনো, কোর টুু, কোরআই ইত্যাদি। ভালো গতির জন্য কোর টু, কোরআই সিরিজ জনপ্রিয়।

 

র‌্যাম ও স্টোরেজ-

ল্যাপটপগুলোতে কনফিগারেশনের সঙ্গে মিল রেখে র‌্যাম দেওয়া থাকে, তবে চাইলে বাড়তি র‌্যাম লাগিয়ে বাড়িয়ে নেওয়া যাবে। ২ থেকে ৪ জিবি র‌্যাম দিয়েই অনায়াসে মোটামুটি সব কাজ করা যাবে। তবে স্টোরেজ বা হার্ডডিস্ক কত হবে, তা নির্ভর করছে ব্যবহারকারীর ব্যবহারের ওপর।

মুভি, ভিডিও বা মিউজিক—এ ধরনের ফাইল হার্ডডিস্কে সংগ্রহ করতে হার্ডডিস্ক ১ টেরাবাইট হলে ভালো হয়। ৫০০ গিগাবাইট হলেও অনেক ভিডিও রাখা যাবে।

 

 

 

সূত্রঃ দৈনিক কালে কন্ঠ

ছবিঃ সংগৃহীত