লিকুইড লিপষ্টিক লাগানোর সময় যে ৯টি ভুল থেকে দূরে থাকবেন
লিকুইড লিপস্টিকের ট্রেন্ড চলছে এখন। ট্রেন্ডের সাথে তাল মিলাতে আপনিও লিকুইড লিপস্টিক কিনলেন, ঠোঁটে লাগালেন কিন্তু অন্যদের মতো সুন্দর কেন হচ্ছে না ? কারন কিছু ভুল হয়তো আপনার অজান্তেই হয়ে যাচ্ছে যার কারনে কাঙিখত লুক আপনি পাচ্ছেন না। লিকুইড লিপস্টিক লাগানোর ক্ষেত্রে এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলো কে ভুল মনেই হয় না। সেই ভুলগুলো জেনে নিন, যেগুলো জানলে আপনিও এড়িয়ে যেতে পারবেন।
১. ঠোঁট এক্সফ্লোয়েট না করা-
ঠোঁট এক্সফ্লোয়েট করা লিপস্টিক লাগানোর প্রথম ধাপ, তবে লিপস্টিক লাগানোর ক্ষেত্রে অনেকেই এটাতে তত বেশী গুরুত্ব দেন না। নরমাল লিপস্টিকের আগে এটা যদি নাও করেন, লিকুইড লিপস্টিক লাগানোর আগে ঠোঁটের এক্সফ্লোয়েটিং অবশ্যই করতে হবে। কারন এক্সফ্লোয়েট না করে লিকুইড লিপস্টিক লাগালে, লিকুইড লিপস্টিক যেহেতু ঠোট শুষ্ক করে তোলে, কিছুক্ষন পর ঠোঁটের মরা কোষগুলো ভেসে উঠবে আর আপনার ঠোঁট দেখতে বাজে লাগবে। তাই লিপস্টিক লাগানোর আগে লিপ এক্সেফ্লোয়েটর অথবা বেবী ব্রাশ দিয়ে ঠোঁটের মরা কোষ সরিয়ে নিন।
২. লিপ বাম না লাগানো-
লিকুইড লিপস্টিক ঠোঁট ড্রাই করে দেয়, ফলে লিপস্টিক লাগানোর কিছুক্ষন পরেই ঠোঁট শুস্ক হয়ে লিপস্টিক কেকি হয়ে যায়। তাই লিকুইড লিপস্টিক লাগানোর আগে লিপ বাম লাগানো জরুরী, এর ফলে ঠোঁট আর্দ্র থাকবে। এছাড়া প্রচুর পানি পান করবেন। এতে আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতার যোগান যেমন থাকবে তেমনি আপনার ঠোঁটও শুস্ক হবে না।
৩. লিপ পেন্সিল ব্যবহার না করা-
অনেকেই লিকুইড লিপস্টিক লাগানোর সময়ে ঠোটেঁ লিপ পেন্সিল দিয়ে কোন আউট লাইন আঁকেন না। কিন্তু লিপ পেন্সিল দিয়ে লিপ লাইন আকাঁর কারনে ঠোঁট ডিফাইন করা যায় এবং লিপস্টিক চারদিকে ছড়িয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যারিয়ার হিসেবে কাজ করে।
৪. লিপ গ্লস দিয়ে লিপস্টিক সেট করা-
লিপ গ্লস দিয়ে ম্যাট লিকু্ইড লিপস্টিক সেট করতে চাইলে সেটা ভুল হবে। কারন এতে লিপস্টিক সেট তো হবেই না, উল্টো আরো ছড়িয়ে যাবে এবং ফেড হবে।
৫. বিভিন্ন প্রোডাক্ট দিয়ে লেয়ার করা-
আপনি একই সময়ে একটি লিকুইড লিপস্টিক ব্যবহার করুন। এতে লিপস্টিক দীর্ঘ সময় লাস্টিং করবে। একসাথে ২/৩টি শেড লিকুইড লিপস্টিক ব্যবহার করে ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করলে লুক নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৬. বেশী পরিমান ব্যবহার-
লিকুইড লিপস্টিকে পিগমেন্টেশন অনেক বেশী, ১/২ কোট লাগানোই যথেষ্ট। যদি এর বেশী কোট লাগান তাহলে ভেঙে ভেঙে স্তর হয়ে উঠে আসবে আর কেকি কেকি হয়ে যাবে।
৭. ঠোটেঁ ঠোঁট ঘষা-
অনেকে দুই ঠোটেঁ একটু পর পর ঘষা অথবা ঠোঁট জিব দিয়ে ভেজানোর অভ্যাস আছে। এমনটা করলে ঠোঁট ড্রাই হয়ে যায় তাড়াতাড়ি এবং লিপস্টিক ও ফেড এবং স্টিকি হয়ে যায়। লিকুইড লিপস্টিক দ্রুত ড্রাই হয়ে যাওয়ার ফর্মুলায় তৈরি, তাই একে বার বার ভিজানোর কিছু নেই।
৮. পাউডার দিয়ে সেট না করা-
যদি লিকুইড লিপস্টিক টি ম্যাট না হয়, তাহলে দুই ঠোঁট একসাথে প্রেস করে সেট করার চেষ্টা করবেন না। ভালো হয় যদি অল্প পরিমানে সেটিং পাউডার দিয়ে সেট করে নেন। এভাবে, লিপস্টিকের বাড়তি ময়েশ্চার কমিয়ে নিতে পারবেন এবং লিপস্টিক ঠিকমতো সেট হয়ে থাকবে।
৯. ঠিকমতো না লাগানো-
আপনি যদি উপরের ঠোঁটে লিকুইড লিপস্টিক লাগিয়ে আবার নিচের ঠোঁটে লাগান এবং তারপর দুই ঠোঁট একসাথে প্রেস করেন তাহলে সেটা ভুল হবে। লিকুইড লিপস্টিকের রং খুব বেশী গাঢ় তাই সঠিক উপায়ে লাগাতে হয়। সঠিক উপায় হলো নিচের ঠোঁটে লিপস্টিক লাগিয়ে নিন, তারপর দুই ঠোঁট একসাথে প্রেস করুন। তারপর কিউপিড বো’তে লিপস্টিক লাগান।
ছবি- সংগৃহীত