সম্পর্ক, ভালোবাসা এবং পুরুষ সম্পর্কে নারীদের যা জানা থাকা উচিত ?

সম্পর্ক, ভালোবাসা এবং পুরুষ সম্পর্কে নারীদের যা জানা থাকা উচিত ?

সম্পর্ক হলো, ভালোবাসা দেয়া-নেয়া এবং বিশ্বাসের সাথে একসাথে থাকার আগ্রহ। নারীদের কাছে পুরুষ জটিল। আর সারা পৃথিবী বলে, নারীকে বোঝার সাধ্য কারো নেই। তাই মানুষ বলেই, নারী-পুরুষ উভয়কে নিয়ে এই তর্কের বিষয় চলতেই থাকবে। আজকে নারীদের সম্পর্ক, ভালোবাসা এবং পুরুষ নিয়ে কিছু বিষয় জেনে নেই।

 

১. আপনার সঠিক পুরুষটিকে চাইলেই পেয়ে যাবেন এমনটা নয়, যদি কেউ পেয়েও যান তবে সেটা বিরল সৌভাগ্যের বিষয়। তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সঠিক মানুষটিকে পাওয়ার আগে, আপনাকে অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হবে, কয়েকটা সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে, এবং বেশ কয়েকবার আপনার হৃদয় ভাঙবে।

 

২. কোন পুরুষের প্রেমে যতই হাবুডুবু খান না কেন, তখন আপনার বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলবেন না, আপনার মেয়ে বন্ধু গ্রুপ আপনাকে যে উপায়ে সাহচর্য দিতে পারবে, সেটা আপনার প্রেমিক পুরুষ দিবে না।

 

৩. যদি আপনার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বলে, আপনার প্রেমিক আপনাকে ধোকাঁ দিচ্ছে, তাহলে সেটা সম্পর্কে অনুসন্ধান চালান, দীর্ঘ সময় ধরে মনে অশান্তি পুষে রাখার চেয়ে, সত্যিটা জেনে নেয়া ভালো।

 

৪. শুধুমাত্র বয়স বেড়ে যাচ্ছে বলেই, কোন সম্পর্কে সেটেল হয়ে যাওয়ার কথা ভাববেন না। সেটেলিং হওয়া বলতে জীবনে দীর্ঘস্থায়ী কিছু নেই, যদি সম্পর্কে মনের অংশগ্রহন না থাকে।

 

৫. আপনার নিজের জন্য নিজে অনুশোচনা করবেন না। প্রেমিক যদি কারন অকারন, যুক্তহীন ভাবে আপনাকে দোষারোপ করে, তার জন্যে নিজেকে ছোট করতে যাবেন না।

 

৬. রাগ নিয়ে ঘুমাতে যাবেন না, এটা শরীর/মন কোন কিছুর জন্যই ভালো না। যদি কোন বিষয় আপনাদের মাঝে সমস্যা তৈরি করে, সেটা নিয়ে আপনি বিরক্ত থাকেন, তাহলে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সেটা নিয়ে কথা বলুন, সমাধানের চেষ্টা করুন, রাগ কমিয়ে ঘুমাতে যান।

 

৭.আপনার প্রয়োজন গুলোকে, আপনি অগ্রাধিকার দিতেই পারেন, তার জন্যে লজ্জিত হওয়ার কিছু নেই।

 

৮. কখনো কখনো, আপনার মানুষটিকে সম্পর্কের খাতিরে সেকেন্ড চান্স দেয়া যেতে পারে। কিন্তু মনে রাখবেন, সব পুরুষই, সব ক্ষেত্রে ২য় সুযোগ পাওয়ার যোগ্যতা রাখে না। ভুলের গভীরতার উপর সুযোগ পাওয়া নির্ভর করে।

 

৯. সম্পর্কে প্রয়োজনে উভয় পক্ষকেই বদলাতে হয়, এটা ভালো। তবে আপনি সে পরিবর্তনে গা ভাসিয়ে নিজেকে যেন হাড়িয়ে ফেলবেন না।

 

১০. বিবাহিত এবং সন্তান আছে । তবুও স্বামীর সাথে আলাদা ডেট করার সময় বের করে নিন। এটা সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ন। সংসার, সন্তানের দোহাই দিয়ে, এটাকে এড়িয়ে যাবেন না।

 

১১. সঙ্গীর ছোট ছোট অবদানগুলোকে স্বীকার করুন এবং প্রশংসা করুন। সে আরো ভালো কিছু করার আগ্রহ পাবে।

 

১২. আপনি হয়তো রান্না আগে করতেন না, তবে কিছুটা শিখে নেয়া উচিত। খুব ভালো রাধুনী সবাই হতে পারে না, আপনি ভালো রাধুনী নন বলে আক্ষেপও করবেন না। তবে নিজের এবং পরিবারের ভালোর জন্য কিছুটা রান্না জেনে নেয়া ভালো।

 

১৩. অপরপক্ষের জন্য নিজের সবটুকু বিলিয়ে দিতে যাবেন না। যদি আপনি অনেক বেশী দিতে থাকেন আর বিনিময়ে যতটুকু পাওয়ার কথা, তারচেয়ে কম পান, সেটা আপনাকে হতাশায় ভুগাবে।

 

১৪. বেশীরভাগ পুরুষই কষ্ট করে পাওয়ার পেছনে দৌড়াতে পছন্দ করে, তাই প্রথমেই তাকে নিজের সবটুকু দিয়ে দিবেন না। আপনাকে অর্জন করতে, তাকে পরিশ্রম করতে দিন।

 

১৫. যে মানুষটিকে ভাবছেন সারাজীবন আপনার সাথে থাকবে, হয়তো থাকবে। তবে সে পর্যন্ত পৌছাতে অনেকটা কষ্ট, চোখের জল, নাটকীয়তা এবং ছোট খাট সম্পর্কের তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।

 

১৬. যদি আপনার প্রেমিক বা স্বামীর ভালোবাসা পাওয়ার জন্য অন্য নারীর সাথে প্রতিযোগীতা করতে হয়, তাহলে অন্য নারীকেই এই এই গেমে জিততে দিন। কারন এই পুরুষ আপনার যোগ্য নন।

 

১৭. সব কিছুতে সঙ্গীকে ভেবেই জীবন হিসেব করবেন না। আগে দেখুন সে সেটার যোগ্য কি না, এবং সে ও আপনাকে তার জীবনের সবটুকু হিসেব করে জীবনের কথা ভাবে কি না। যদি তার জীবনের হিসেব তেমন না হয়, তবে আপনিও জীবনের কিছু হিসেব তাকে দূরত্বে রেখেই করুন।

 

১৮. বয়স বেড়ে যাচ্ছে, সৌন্দর্য কমে যাচ্ছে, এই ভয়ে ভীত হবে না। আপনি কোন বোমা নন, তার সময় পেড়িয়ে যাচ্ছে, কার্যক্ষমতা কমে যাচ্ছে ভেবে ভয় পেতে হবে। যে আপনাকে চাইবে, সে আপনার বয়স নিয়ে বিবেচনা করবে না।

 

১৯. সুখী, আত্নবিশ্বাসী হওয়ার জন্য মডেলের মতো সৌন্দর্য প্রয়োজন নেই। যে অবস্থায়ই থাকুন, আপনি শুধু সম্পর্কের যত্ন নিন।

 

 

 

 

 

 

ছবিঃ সংগৃহীত