মিনিমাল বা নো মেকআপ
ন্যাচারাল, মিনিমাল বা নো মেকআপ—নাম যা-ই দিই না কেন, গরম চলবে সেই মেকআপ ট্রেন্ডে।
ছিমছাম সাজে-
মিনিমাল বা নো মেকআপ লুকে প্রতিদিনের প্রয়োজনে বাইরে বের হতে কী করতে হবে জানিয়েছেন রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভিন।
পরিষ্কার ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। দিনের বেলা বাইরে বের হতে হলে ময়েশ্চারাইজারের পর সানস্ক্রিন লাগান। চাইলে সানস্ক্রিনের সঙ্গে বিবি ক্রিমও ব্যবহার করা যেতে পারে। এরপর লুজ পাউডার বা কম্প্যাক্ট পাউডার দিয়ে বেইজ শেষ করুন। চোখের সাজে মাশকারাই যথেষ্ট। শ্যাডো চাইলে বাদামি, চাপা সোনালির মতো গায়ের রঙের কাছাকাছি রং লাগান। ব্লাশন চাইলে গায়ের একটু চাপা বাদামি রং বেছে নিন। তবে ব্লাশন যেন ত্বকের সঙ্গে ভালোভাবে মিশে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ঠোঁটের সাজে পছন্দের যেকোনো ন্যুড রং বেছে নিন। প্রতিদিনের সতেজ সাজে এর চেয়ে বেশি কিছু প্রয়োজন নেই। দীর্ঘক্ষণ সতেজ সাজ ধরে রাখতে সবশেষে মেকআপ সেটিং স্প্রে করে নিন।
দিনের দাওয়াত -
দিনের যেকোনো দাওয়াত বা বিশেষ কোনো উপলক্ষ থাকলে সাজে একটু ভিন্নতা থাকতেই পারে। দাওয়াতের সাজের ন্যাচারাল লুকের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন রূপবিশেষজ্ঞ নুজহাত খান।
দিনের বেলা দাওয়াতের সাজে বেইজে বাড়তি নজর দিতে হবে। বেইজের জন্য টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার, ফাউন্ডেশন ও কমপ্যাক্ট পাউডার ভালো। ন্যাচারাল সাজে ফাউন্ডেশন ও কমপ্যাক্টের শেড অবশ্যই ত্বকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, মেকআপের বেইজ ত্বকের রঙের চেয়ে হালকা হলে সাজে কৃত্তিম ভাব চলে আসবে। দাগছোপ থাকলে আগে অল্প কনসিলার ব্যবহার করে নিতে হবে। ফাউন্ডেশন ত্বকের সঙ্গে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে লাগাতে হবে। এরপর কম্প্যাক্ট পাউডার চেপে চেপে বসিয়ে দিন। চোখের সাজে একটু ছাড় দিতে হবে। মাশকারা আর ন্যুড শ্যাডো দিয়ে সেরে ফেলুন চোখের সাজ। শ্যাডোর বদলে রঙিন পেনসিলের লাইন টেনে নিলেও ভালো দেখাবে। ব্লাশনে বাদামি, ব্রোঞ্জ, হালকা গোলাপি রং ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেটাও খুব সুন্দরভাবে ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। নয়তো সাজের মিনিমাল টোনটা থাকবে না। এই সাজের সঙ্গে গয়না, পোশাক বা অন্যান্য অনুষঙ্গ কিছুটা কালারফুল হতে পারে।
জমকালো মিনিমাল-
রাতের দাওয়াত কিংবা জমকালো পার্টিতেও এখন চলছে ‘নো মেকআপ’ লুকের রাজত্ব। জমকালো সাজে ন্যাচারাল লুক ফুটিয়ে তোলার বিষয়ে আফরোজা পারভীন বলেন, ত্বকের সঙ্গে মানানসই বেইজ পেতে প্রথমে ভালো মনের প্রাইমার লাগান। এরপর ত্বকের রং থেকে এক বা দুই শেড গাঢ় ফাউন্ডেশন লাগান। আর কমপ্যাক্ট হবে ত্বকের চেয়ে এক শেড উজ্জ্বল। তাহলে ফাউন্ডেশন আর ফেসপাউডার মিলে সঠিক ও ন্যাচারাল বেইজ পাবেন। মিনিমাল মেকআপের ক্ষেত্রে ব্লাশনে বাদামি ঘেঁষা রঙের বিকল্প নেই। ব্লাশন লাগানো শেষে খেয়াল রাখুন আয়নায়, যেন আলাদা করে ব্লাশন বোঝা না যায়। মিনিমাল সাজে রাতেও চোখের সাজে বাহুল্য বর্জনীয়। শুধু শ্যাডো আর মাশকারা দিয়েই চোখের সাজ শেষ করুন। তবে কৃত্রিম আইল্যাশ থাকতে পারে। নো মেকআপ লুকের লিপস্টিকে বোল্ড রং এক্কবারে এড়িয়ে চলুন। কেউ চাইলে ঠোঁট ন্যুড রেখে চোখে অল্প করে স্মোকি ইফেস্ট নিয়ে আসতে পারেন। নো মেকআপের সাজের ট্রেন্ডেও এখন স্মোকি চোখ নিয়ে নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
চুলটা যেমন-
মিনিমাল সাজের সঙ্গে চুলের সাজের যোগসূত্র কেমন হবে সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন নুজহাত খান। এই সাজের সঙ্গে আরামদায়ক যেকোনো চুলের সাজ মানানসই। বিশেষ কোনো উপলক্ষ না থাকলে চুল হতে পারে খোলা, পনিটেইল বা বেণি। আবার উপলক্ষ বুঝে চুলের সাজে একটু ব্যকিক্রমী লুক আনতে পারেন। চুলের সাজ নির্ভর করবে মূলত পোশাক ও উপলক্ষের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। দেশি সাজের সঙ্গে বেণি, খোঁপা বা কার্লি খোলা চুল ভালো দেখাবে। পাশ্চাত্য ঘরানার পোশাকে কার্লি চুলের বিভিন্ন রকমের সাজ থেকে বেছে নিতে পারেন পছন্দের হেয়ারস্টাইল। রাতের মিনিমাল সাজে চুলে বিভিন্ন ধরনের কাঁটা, ক্লিপ বা চুলের গয়না জমকালো লুক ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করবে।
সূত্রঃ দৈনিক কালের কন্ঠ