চুলের যত্ন নিন আয়ুর্বেদিক তেল দিয়ে
রাসায়নিক উপাদানের চেয়ে প্রাকৃতিক যেকোনো কিছুই যে আমাদের দেহের জন্য ভালো, এ কথা কারও অজানা নয়। তেমনি আর্য়ুবেদিক উপায়ে তৈরি তেলের সঙ্গে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারে চুল থাকে সুস্থ ও সুন্দর। নিয়মিত মাথার তালুতে এই তেল মালিশ করলে এটি মাথার ত্বককে সুস্থ রাখে, রক্তচলাচল স্বাভাবিক করে। এতে রয়েছে লরিক অ্যাসিড, যা চুলে প্রোটিনের ভিত তৈরি করে এবং চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়। চুলকে করে মজবুত এবং চুলের আগা ফাটা দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত তেল মালিশ করলে নতুন চুল গজায়। পাশাপাশি চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়, এমনটাই জানালেন হারমনি স্পার আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা।
রাহিমা সুলতানা জানালেন তেলে এমন কিছু উপকরণ ব্যবহারের কথা—
● ঘাসজাতীয় সুগন্ধিযুক্ত ভ্যাটিভার চুলের অকালপক্বতা রোধ করে। তেলের সঙ্গে এটি মেশালে সুঘ্রাণ পাবেন, চুল পড়া কমবে ও সাদা চুল কালো করতে প্রাকৃতিকভাবে কাজ করবে।
● কাঠবাদামে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ম্যাগনেশিয়াম, যা মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে। এর তেল দিয়ে নিয়মিত মালিশ করলে চুল অনেক মজবুত, ঝলমলে, উজ্জ্বল ও খুশকিমুক্ত হয়।
● ব্রাহ্মীযুক্ত তেল চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়। ফলে চুল হয় ঘন ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
● তেলের সঙ্গে অ্যালোভেরা মেশালে এর কার্যকারিতা বহুগুণ বেড়ে যায়। এটি চুল পড়া কমায়। নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। খুশকি দূর করে চুলকে প্রাকৃতিকভাবে ঝলমলে করে তোলে।
● আমলকীতে থাকা ভিটামিন সি তেলের সঙ্গে জ্বাল দিলেও নষ্ট হয় না। এই তেল চুলের গোড়া শক্তিশালী করে ও চুল পড়া কমায়। এটি খুশকি দূর করে এবং মাথার ত্বকের চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।
● মুকুনওয়েন্না বা সেসিলি একটি লতানো ঘাসজাতীয় উদ্ভিদ। এটি তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে মালিশ করলে খুশকিসহ ত্বকের যেকোনো ধরনের প্রদাহ কিংবা চুলকানি কমে যায়। অনেক ঔষধি গুণ থাকায় মাথার ত্বকের নানান সমস্যা দূর করে চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে এবং স্বাস্থোজ্জ্বল চুল পেতে সাহায্য করে।
সূত্রঃ নকশা, দৈনিক প্রথম আলো