শ্যাম্পুর সাথে বাড়তি কিছু দিন চুলকে

শ্যাম্পুর সাথে বাড়তি কিছু দিন চুলকে

সৌন্দর্য অনেকটা নির্ভর করে চুলের ওপর। যদিও আলসেমিতে এসব হার্বাল উপাদান খুব একটা ব্যবহার করা হয়ে ওঠে না। তাই বলে তো আর চুলচর্চায় প্রাকৃতিক উপকরণের ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে না! বিকল্প উপায়ও রয়েছে। শতভাগ প্রাকৃতিক না হলেও এটি সেরা উপায়, তা মানতেই হবে। চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় উপকরণ শ্যাম্পু। তবে শুধু শ্যাম্পু যথেষ্ট নয়, বাড়তি পুষ্টি পাওয়ার জন্য অবশ্যই কিছু প্রাকৃতিক উপকরণ শ্যাম্পুর সঙ্গে মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। কারণ উপাদানগুলো চুলের জন্য বেশি কার্যকর এবং এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।

 

নারিকেল তেল-

নারিকেলের দুধ আপনার চুলে পুষ্টি জুগিয়ে চুল সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ নারিকেল দুধ নিয়ে বাকিটুকু ভেষজ শ্যাম্পু নিতে হবে। এর সঙ্গে এক চামচ বাদাম তেল এবং ১০ ফোঁটা এসেনশিয়াল তেল মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে হবে।

 

লেবুর রস-

মাথার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে লেবুর রস দারুন কার্যকর। দুই টেবিল চামচ শ্যাম্পুর সঙ্গে এক টেবিল চামচ লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। মাথার ত্বকে আলতো করে ম্যাসাজ করে নিন কিছুক্ষণ। এবার ভালো করে ধুয়ে নিন। তাই শ্যাম্পুতে নিয়মিত লেবুর রস ব্যবহার করলে চুলের স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধি নিশ্চিত করা সম্ভব।

 

অ্যালোভেরা-

বহুগুণে গুণান্বিত অ্যালোভেরা চুল ঝরে যাওয়া, খুশকি ও মাথার ত্বকের শুষ্কতা প্রতিরোধ, ময়েশ্চার ধরে রাখতে সক্ষম। এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল ও দুই টেবিল চামচ ন্যাচারাল শ্যাম্পু মিশিয়ে নিন। ব্যবহারের পর চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

 

গোলাপজল-

চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে, মাথার ত্বক শীতল করতে ও খুশকি দূর করতে গোলাপজলের জুড়ি নেই। এটি চুল ও মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখে। এক টেবিল চামচ অর্গানিক গোলাপজলে ও দুই টেবিল চামচ শ্যাম্পু মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি ব্যবহার করে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

 

 

 

সূত্রঃ দৈনিক বিডি প্রতিদিন

ছবিঃ সংগৃহীত