নিজেকে ভালোবাসুন

নিজেকে ভালোবাসুন

হাজারো কাজের ভীড়ে,পরিবার সমাজ সবকিছুর প্রতি দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে আমাদের নিজেদের জীবন কে নিয়ে আমরা আলাদা করে আর ভাবি না, নিজেকেও ভালবাসা উচিত, ভালবাসতে জানা উচিত সেই বিষয়টা আমরা কেউ ভেবে দেখি না, অথচ নিজেকে ভাল না বাসতে পারলে ধীরে ধীরে আমরা নিজেদের কাছ থেকেও হাড়িয়ে যাই। তাই নিজেকে ভালবাসুন কারন শুধু অন্যকে ভালোবাসা আর বেচেঁ থাকার জন্য দিন-রাত কে যাপন করে যাওয়াই জীবন নয়, বরং অন্যকে ভালোবাসার সাথে সাথে নিজেকে ভালবাসতে পারলে, নিজেকে গুরুত্ব দিলে জীবনের আসল মাধুর্য বুঝা যায়। তাই চলুন অন্যকে ভালবাসার পাশাপাশি নিজেকেও আমরা ভালবাসিঃ

১. নিজেকে ক্ষমা করুন-

অতীতের কোন ভুলের জন্য নিজেকে অপরাধী মনে হলে, ভুলে যান, নিজেকে ক্ষমা করুন। এই ভেবেও নিজেকে প্রবোধ দিতে পারেন যখন আপনি কোন ভুল করেছিলেন তখন আপনার বয়স, অভিজ্ঞতা, বোধ-জ্ঞান সবই কম ছিল। অতীত চলে গেছে অতএব অতীত কে ভুলে যান। নিজেকে নতুন সময়ে নতুন করে গড়ে নিন।

২. নিজেকে ভয় দেখাবেন না-

প্রতিনিয়ত আপনার চিন্তাগুলো দিয়ে নিজেকে ভয় দেখাবেন না। এমন কিছু ভাবুন যা ভাবলে আপনি মানসিক প্রশান্তি অনুভব করেন, উৎফুল্ল বোধ করেন। অতএব আপনার ভীত মনকে ভালো কোন ভাবনা দিয়ে আনন্দ দিন।

৩. দয়ালু, শান্ত এবং অমায়িক হোক-

নিজের সাথে শান্ত আচরণ করুন, নিজের প্রতি দয়ালু হোন, অমায়িক হোন। নিজেকে এমনি করেই ভাবুন যে নতুন কাউকে আপনি ভালবাসছেন।

৪. নিজের চিন্তাধারার প্রতি দয়ালু হোন-

নিজেকে ঘৃনা করা হলো নিজস্ব ভাবনাগুলো কে ঘৃনা করা। নিজস্ব চিন্তাগুলোকে ঘৃনা করার বদলে ভাবনগুলোকে বদলে নিন।

৫. নিজের প্রশংসা করুন-

প্রতিনিয়ত নিজেকে ভৎসনা করলে নিজের ভেতরের যে ভালো উদ্যম আছে সেগুলো নষ্ট হয়ে যায় আর প্রশংসা করলে সেটা বাড়ে। অতএব যতটুকু পারেন নিজের প্রশংসা করুন। নিজেকে বলুন কত ছোট ছোট দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলেও আপনি কত ভালো কিছু করছেন।

৬. নিজেকে শেয়ার করুন-

বন্ধুদের সাথে সময় কাটান, তাদের সাথে নিজেকে শেয়ার করুন, আপনার ভালো লাগবে।

৭. আপনার খারাপ দিকগুলোর প্রতি সদয় হোন-

ভাবুন আপনার যা মন্দ দিকগুলো আছে আপনার কোন প্রয়োজনে তৈরি হয়েছিল, এখন থেকে আপনি চান সে বিষয়গুলোকে বদলে ফেলবেন। এভাবে খুব চমৎকারভাবে আপনি আপনার মন্দ দিকগুলোকে বদলে নিতে পারবেন।

৮. শরীরের যত্ন নিন-

পুষ্টি সম্পকে ধারনা নিন। পুষ্টিকর খাবার খান তাহলে শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি পাবেন, আর সুস্থ শরীর সুস্থ মনের সহায়ক হয়।

৯. নিয়মিত ব্যায়াম করুন-

নিয়মিত ব্যায়াম, ইয়োগা করুন শরীর সুস্থ থাকবে, মন ভালো থাকবে সেই সাথে আপনার শারীরিক গঠন সুন্দর থাকবে, আয়নায় যখনই দেখবেন নিজের ফিটনেস আপনি নিজেই নিজের প্রেমে পড়ে যাবেন।

১০. আয়নায় নিজের সাথে কথা বলুন-

প্রতিদিন নিজেকে আয়নায় দেখুন, আয়নায় নিজের চোঁখের দিকে তাকান, নিজেকে বলুন “আমি তোমাকে ভালবাসি, সত্যিই আমি তোমাকে ভালবাসি”, প্রতিদিন একবার করে হলেও এভাবে নিজের সাথে কথা বলুন।

১১. আনন্দ করুন-

নিজেকে আনন্দের মধ্যে রাখুন প্রতিনিয়ত, নিজেকে আনন্দিত করার সব সুযোগগুলোকে কাজে লাগান।

আপনি জীবন গতিধারা কে রোধ করতে পারবেন না, প্রকৃতি কে বদলাতে পারবেন না, কিন্তু নিজেকে তো বদলাতে পারবেন। স্রষ্টা জীবন একটাই দিয়েছেন অতএব প্রতিদিনই আনন্দের সাথে বাঁচুন, নিজেকে ভালবেসে বাঁচুন।

 

ছবিঃ সংগৃহীত