লিপস্টিক ব্যবহারে সতর্ক হোন
ঠোঁটকে সাজাতে এবং মোহনীয় করে তুলতে লিপস্টিকের জুড়ি নেই। তবে লিপস্টিক ঠোঁটের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুললেও এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই প্রয়োজন সতর্কতা।
কী আছে লিপস্টিকে?
লিপস্টিকে রয়েছে সিসা ও অন্যান্য ক্ষতিকর কেমিক্যাল। যদিও কোনো লিপস্টিকের ম্যানুফ্যাকচারিং এজেন্ট হিসেবে সিসার উল্লেখ থাকে না, তবে বেশ কয়েকটি গবেষণায় লিপস্টিকে সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবুও শুধু সিসাই যে আপনার লিপস্টিকের খলনায়ক, তা নয়। এ ছাড়াও আরও একাধিক ধাতুর উপস্থিতির কথাও টের পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বার বার জিভ দিয়ে চাটলে বা খাবারের সঙ্গে শরীরে ঢুকে গেলে একই সঙ্গে বেশ খানিকটা ধাতুও ঢুকে যায় শরীরে। এক গবেষণায় দেখা গেছে কিছু ব্র্যান্ডের লিপস্টিকে কোবাল্ট, ক্যাডমিয়াম, টাইটেনিয়ামের মতো ধাতুও পাওয়া গেছে। গাঢ় রংকে খানিকটা হালকা করার জন্য টাইটেনিয়াম ডাই-অক্সাইডের মতো হোয়াইটিনং এজেন্টও ব্যবহার করা হতে পারে। গ্লিটারযুক্ত লিপগ্লসেও থাকতে পারে অভ্র। আবার এই অভ্রের মধ্যে থাকতে পারে সিসা, ম্যাঙ্গানিজ, ক্রোমিয়ামের মতো ধাতু।
প্রাথমিক উপসর্গ-
রোজকার অফিসে যাওয়ার আগেও অনেকেই লং লাস্টিং শেড লাগিয়ে বেরোন। এতে বার বার টাচ-আপে না থাকলেও ঠোঁটের স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। বার বার জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটলে বা হাত দিলে সমস্যা হতে পারে। যারা মাঝেমধ্যে লিপস্টিক লাগান, তারা নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। লিপস্টিক লাগানোর পর ঠোঁটে র্যাশ হতে পারে। চুলকানি হয় বা ঠোঁট কালো হয়ে যায়, তাহলে লিপস্টিক বদলে ফেলা উচিত।
চাই ঠোঁটের প্রাত্যহিক যত্ন-
লিপস্টিক, ঠোঁটের অলঙ্কার। লিপস্টিক ঠোঁটের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুললেও বিশেষজ্ঞদের মতে, লিপস্টিকের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। অত্যন্ত সামান্য মাত্রায় থাকলেও দীর্ঘদিন ব্যবহারে এই উপাদানগুলো ঠোঁটের ত্বকে নানারকম সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই বলে কী ব্যবহার বন্ধ করে দেবেন? না, এমনটাও নয়, লিপস্টিক ব্যবহারে প্রয়োজন সচেতনতা এবং ঠোঁটের যত্ন।
কসমেটিক থেকে শরীরে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলেও সাংঘাতিক কোনো ক্ষতি সাধারণত হয় না। তবে সাবধান থাকার জন্য লিপস্টিক লাগানোর আগে ঠোঁটে ভালো করে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এটি লিপস্টিকের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে অনেকাংশে রক্ষা করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, লিপস্টিক লাগানোর আগে ভালো করে ময়েশ্চারাইজারের বেস লাগালে সমস্যা অনেকটাই সমাধান সম্ভব। লং লাস্টিং, ম্যাট লিপস্টিক যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করুন। যে লিপস্টিক তাড়াতাড়ি রিমুভ করা যায় না, সেরকম লিপস্টিক না লাগানোই ভালো। বাড়ি ফিরে অবশ্যই লিপস্টিক তুলে ফেলবেন। আর তারপর রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে ক্রিম বা জেল লাগিয়ে নেবেন। লিপস্টিক লাগানোর পরে যদি ঠোঁট শুকিয়ে যায় বা ঠোঁট থেকে চামড়া ওঠে, তাহলেও সেই প্রোডাক্টটি বদলে ফেলুন। ঠোঁটে কোনো রকম প্রতিক্রিয়া হলে সেই প্রোডাক্টটি আর ব্যবহার করবেন না।
সূত্রঃ দৈনিক বিডি প্রতিদিন
ছবিঃ সংগৃহীত