 
                                                                    
                            কালার কারেকশন কনসিলারের কাজ
আপনি যদি বিভিন্ন বিউটি ম্যাগাজিন পড়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চই আপনি কালার কারেক্টিং সম্পর্কে জেনেছেন। বর্তমানে সময়ে ভিন্ন ভিন্ন কারেকশনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন শেড এর কনসিলার ব্যবহার হচ্ছে। আপনার মুখে বেগুনী রংয়ের কনসিলার ব্যবহার করার কথা ভেবে যেন আতকে উঠবেন না, কারন ত্বকের ব্লেমিশ কে ঢেকে দেয়ার জন্য এটা বেশ কার্যকরী কনসিলার।
তাহলে দেরি না করে এখনই জেনে নিন, কনসিলারের কোন শেড কোন কারেকশনের জন্য ব্যবহার করা হয়ঃ
প্রফেশনাল মেকআপ আর্টিষ্টরা বহুদিন ধরেই কালার কারেক্টিং কনসিলার ব্যবহার করছেন তবে সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যানে বর্তমানে এটা সবার কাছে গ্রহনযোগ্যতা পাচ্ছে এবং সবাই এই ট্রেন্ডে আগ্রহী হচ্ছেন।
কোন রংয়ের বিপরীত রংয়ের শেড দিয়ে সেই রংয়ের কালার কারেকশন করা হয়। গ্রীন কনসিলার দিয়ে লাল হয়ে উঠা ব্রন কে ঢাকতে, পার্পল কনসিলার দিয়ে হলুদ স্পট ঢাকতে এবং অরেঞ্জ কনসিলার দিয়ে ব্লু ডার্ক সার্কেল ঢাকতে ব্যবহার করা হয়।
বেসিক রুলস-

মুখের ব্লেমিশ ঢাকার জন্যে পারফেক্ট কালারটি ব্যবহার করুন, তারপর ওই কালারের উপর হালকা করে আপনার ফাউন্ডেশন লাগান। আপনার চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল ঢাকতে অরেঞ্জ অথবা পিঙ্ক কালার লাগানোর পর, তার উপর আপনার রেগুলার কনসিলার হালকা করে লাগিয়ে নিন, এরপর বিউটি ব্লেন্ডার দিয়ে মেকআপ ভালোমতো মিশিয়ে নিন।
গ্রীন কনসিলার (মুখের রেডনেস, ব্রন ঢাকতে)-
সবুজ রং, লাল রং এর বিপরীত কালার। তাই মুখের যে কোন লাল হয়ে যাওয়া অংশ ঢাকতে (যেমন ব্রন বা লাল গোটা বা এলার্জী) গ্রীন কনসিলার ব্যবহার হয়। তাই মুখের অনাকাঙ্খিত লাল দাগ ঢাকতে আপনি গ্রীন কনসিলার লাগান, এটা শুধু আপনার মুখের লাল রংই ঢাকবে না এটা আপনার ফাউন্ডেশনের বেস হিসেবেও কাজ করবে।
অরেঞ্জ কনসিলার (ডার্কার স্কিন টোন, চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল ঢাকতে)-

অরেঞ্জ হলো ব্লু এর বিপরীত কালার। যদি আপনার ত্বক কিছুটা কালো হয়ে থাকে এবং সেই সাথে ব্লু ডার্ক সার্কেল থাকে, অরেঞ্জ কনসিলার আপনাকে সাহায্য করবে। ফর্সা ত্বকের মানুষদের অরেঞ্জ কনসিলার এড়িয়ে যেতে হবে তার পরিবর্তে পিচ কালার কারেক্টর ব্যবহার করতে হবে।
পিন্ক কনসিলার (ফর্সা ত্বকের অধিকারী কিন্তু চোখে ডার্ক সার্কেল আছে)-
পিন্ক কনসিলার রেড, অরেঞ্জ এবং ইয়েলো কালার মিক্স করে তৈরি করা হয়। এই রংটি ব্লু, গ্রীন এবং পার্পল রংয়ের বিপরীত। ফর্সা ত্বকের মানুষদের চোখের নিচের সার্কেল ঢাকতে এই কালার কনসিলার ব্যবহার করা হয়।
ইয়েলো কনসিলার (গাঢ় দাগ, চোখের নিচের কালো দাগ এবং ত্বকের নিচের ভেইন ঢাকতে)-

পার্পল কালার এর দাগ ঢাকতে, ত্বকের নিচের শিরা-উপশিরা ঢাকতে, চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল ঢাকতে ইয়েলো স্পট কনসিলার ব্যবহার করা হয়।
পার্পেল কনসিলার (হলুদ ত্বকের অধিকারীদের জন্য)-
হলুদ ত্বক অথবা হলুদের মধ্যে শ্যামবর্ন ত্বকের দাগ ঢাকতে পার্পেল কনসিলার কার্যকরী।
কালার কারেক্টিং কনসিলার ব্যবহারের ক্ষেত্রে যা করবেন এবং যা করবেন না-
- আপনার ত্বকের জন্য সঠিক কালার বেছে নিন। এক্ষেত্রে মনে রাখবেন মুখের ব্লেমিশ ঢাকার জন্য, শ্যামবর্নের ত্বকের জন্য অরেঞ্জ, ফর্সা ত্বকের জন্য পিচ কালার নিতে হবে।
- হালকা করে কনসিলার লাগাবেন, ভারী করে লাগালে এটা আপনার ফাউন্ডেশন ছাপিয়ে ভেসে থাকবে।
- যে রং আপনার প্রয়োজন নেই সেটা লাগাবেন না, কালার কারেক্টিং কনসিলাল লাগানো হয় মুখের গাঢ় দাগ কে সঠিক ভাবে ঢেকে দিতে, দাগ যদি হালকা হয় তাহলে আপনার রেগুলার কনসিলারই যথেষ্ট।
- মুখের মেকআপ ঠিকমতো মিশিয়ে দিতে মেকআপ স্পঞ্জ বা বিউটি ব্লেন্ডার ব্যবহার করুন। ব্রাশ দিয়ে সারা মুখে মিশাতে যাবেন না, ব্র্রাশ দিয়ে করতে গেলে দাগ ঢাকার জন্যে আপনার সমস্ত পরিশ্রম মাটি হয়ে দাগ না ঢেকে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে যাবে।
- মনে রাখবেন, মেকআপ আপনার ত্বককে লুকানোর জন্যে নয় বরং ত্বকের খুঁতগুলোকে ঢেকে দিয়ে সঠিকভাবে উপস্থাপন করার জন্যে, তাই কালার কনসিলার বাড়তি দাগগুলোকে ঢেকে দেয়ার জন্যেই আপনি ব্যবহার করবেন, তাই বলে আপনার ত্বকে ন্যাচারাল শাইন কে ঢেকে ফেলবেন না।
ছবিঃ সংগৃহীত
 
                                                                                             
                                                                                             
                                                                                             
                                                                                         
                            
                     
                                                                                         
                            
                     
                                                                                         
                            
                     
                                                                                         
                            
                     
                                                                                         
                            
                     
                                                                                         
                            
                     
                        
                         
                        
                         
                        
                         
                        
                        