চেহারার সঙ্গে মিলিয়ে ভ্রু

চেহারার সঙ্গে মিলিয়ে ভ্রু

মুখের সৌন্দর্যে ছোটখাটো বিষয় অনেক বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন ধরুন ভ্রু জোড়ার কথা। যত সুন্দর ও সঠিকভাবে মেকআপ করা হোক না কেন, ভ্রুর আকৃতি যদি মুখের সঙ্গে মানানসই না হয়, তাহলে চেহারার পুরা লুকটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। শুধু চেহারার নয়, চোখের সৌন্দর্যের অনেকটাই নির্ভর করে চোখের ওপর বসে থাকা ভ্রু জোড়ার ওপর। চিকন ভ্রুকে সরিয়ে এখন ফ্যাশনে অনেকটাই জায়গা করে নিয়েছে মোটা ভ্রু।
চুলের সাজবিশেষজ্ঞ কাজী কামরুল ইসলাম বলেন,‘ ভ্রু জোড়া হতে হবে মুখের সঙ্গে মানানসই। চিকন বা মোটা ভ্রুর ধারা চলতেই থাকবে। তবে মুখমণ্ডলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভ্রুই হলো সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়।’ মুখের সঙ্গে মিলিয়ে ভ্রু সাজানোর ব্যাপারে কাজী কামরুল ইসলাম দিয়েছেন পরামর্শ।


ডিম্বাকার মুখ
কোমল-ত্রিকোণাকৃতির ভ্রু আপনার জন্য বেশি মানানসই। এ ক্ষেত্রে প্রথমে সোজা হয়ে ঠিক মাঝখানে ত্রিকোণ তৈরি করবে। সর্বাধিক সেলিব্রিটি এই স্টাইলে ভ্রু রাখেন।


গোলাকার মুখ
এ ক্ষেত্রে উঁচু করে ভ্রু প্লাক করুন। মনে রাখবেন, গোল মুখের সঙ্গে গোল আকারের ভ্রু একদমই মানানসই নয়। বাইরের দিকে উল্লম্বভাবে ভ্রুর আকৃতি করুন।


লম্বা মুখ
ফ্লাট ভ্রু রাখুন, তবে দীর্ঘ আকৃতির হতে হবে। এতে আপনার মুখ অনেক বেশি লম্বা দেখাবে না এবং এটা বহাল রাখাও খুব সহজ।


চারকোনা মুখ
এ ক্ষেত্রে পুরু এবং সামান্য বৃত্তাকার আকৃতির ভ্রু রাখুন। কখনোই বক্র আকৃতির করবেন না।
পাতলা ভ্রু ঘন দেখানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন বাদামি আইব্রো পেনসিল বা পাউডার।

হৃদয়াকৃতির মুখ
আপনি অবশ্যই গোলাকৃতির ভ্রু রাখবেন। ভ্রুতে একটু ড্রামাটিক ভাব বা স্টাইলও আনতে পারেন। যেমন ত্রিকোণাকৃতি থেকে নিচু করে প্লাক করতে পারেন। তবে গোলাকৃতিতেই বেশি ভালো লাগবে। কিন্তু ভ্রু যাতে নাকের দিকে বেশি থাকে। কখনোই একেবারে সোজা ভ্রু রাখবেন না।


হীরক আকৃতির চেহারা
গোলাকৃতি হয়ে কোনার দিকটা একটু বাঁকা করে ওঠানো ভাবে ভ্রু প্লাক করুন।
প্লাকের জন্য কীভাবে ভ্রুয়ের পরিমাপ করবেন
নাকের যেখান থেকে ভ্রু শুরু, সে বরাবর একটি দাগ টানবেন। ঠিক নাকফুলের জায়গা থেকে ভ্রু যেখানে শেষ হয়েছে, সে বরাবরও কোনা করে আবার দাগ টানুন। এই দুই লাইনের মাঝামাঝি জায়গায় আরেকটি দাগ টানুন। এই দাগ ধরেই ভ্রুয়ের ওঠানো-নামানো, বাড়ানো-কমানোর কাজ করবেন। চটপট বের হয়ে যাওয়ার সময় পাতলা ভ্রু ঘন দেখানোর জন্য বাদামি আইব্রো পেনসিল বা পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া নিচের নিয়মগুলোও সহায়তা করবে পাতলা ভ্রু ঘন করার জন্য.* পেট্রোলিয়াম জেলি ভ্রুর চারপাশে লাগালে তা ভ্রুকে ঘন ও আর্দ্র রাখবে। নিয়মিত মাখলে ভ্রু ঘন হয়ে উঠবে।
* ক্যাস্টর অয়েল, জলপাই তেল, বাদাম তেল, নারকেল তেলের মতো প্রাকৃতিক তেলও ভ্রু ঘন করতে বেশ পটু।
* ভ্রু ঘন করতে চাইলে টুইজারটা দূরেই সরিয়ে রাখুন। বারবার ভ্রুর লোম তুললে লোমের গোড়ায় স্থায়ী ক্ষতি হয়, ফলে ভ্রু এমনিতেই পাতলা হয়ে যায়।
* চুল গজাতে সাহায্য করে এমন পণ্য আপনার ভ্রুতে মাখুন।
* গোসলের সময় ভ্রুতে কন্ডিশনার লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। এটি করলে ভ্রুর রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং নতুন লোম গজায়।

 

সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো, নকশা

ছবি- সংগৃহীত