স্ট্রেচিং এর গুরুত্ব
স্ট্রেচিং শরীরের মাংসপেশিকে নমনীয় হতে সাহায্য করে। এতে শারীরিক পারফরম্যান্স যেমন উন্নত করা যায়, তেমনি ইনজুরির আশঙ্কা কম থাকে।
অনেক সময় দ্রুত দৌড়ালে যেকোনো সংযোগস্থলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, স্ট্রেচিং সেই আশঙ্কা কমিয়ে দেয়। যারা পাহাড়ে ওঠানামা করে, তাদের অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। যেমন—যত দ্রুত তারা পাহাড়ে উঠতে চায়, পায়ের মুভমেন্ট ঠিক ততটা দ্রুত হয় না। শুধু তা-ই নয়, এসব ক্ষেত্রে শিরা ছিঁড়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। স্ট্রেচিং শুধু শিরা ছিঁড়ে যাওয়া আশঙ্কা থেকে রক্ষা করে তা নয়, পায়ের গতিশীলতা বাড়াতে সহায়তা করে। স্ট্রেচিং মাংসপেশিতে রক্ত সঞ্চালনের গতি বাড়াতেও ভূমিকা রাখে।
স্ট্রেচিংয়ের সময় অবশ্য সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। স্ট্রেচিং শুরুর আগে নিশ্চিত হতে হবে, এটা যেন সহজ ও ফলপ্রসূভাবে করা যায়। আর স্ট্রেচিং এমন একটি বিষয়, যা যেখানে-সেখানেই করা যায়।
বাড়ি, অফিস, পার্ক ও হোটেলেও। তবে যেখানেই স্ট্রেচ করা হোক না কেন, তা অবশ্যই সঠিক নিয়মে করতে হবে। অন্যথায় উপকারের তুলনায় ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। অনেকে মনে করে, স্ট্রেচিং এক ধরনের ওয়ার্ম আপ। তা কিন্তু নয়। বরং স্ট্রেচিংয়ের আগে ওয়ার্ম আপ করা উচিত। মাংসপেশি ঠাণ্ডা অবস্থায় স্ট্রেচ করলে ক্ষতির শঙ্কা থাকে। সেই কারণে স্ট্রেচিং করার আগে হালকা ওয়ার্ম আপ করে নেওয়া উচিত। যেমন—হালকা হাঁটাহাঁটি অথবা জগিং করে নেওয়া ভালো। আরো ভালো হয় ব্যায়ামের পর স্ট্রেচ করলে। কেননা তখন মাংসপেশি উষ্ণ থাকে।
স্ট্রেচিংয়ের সময় মূল মাংসপেশিগুলো যেন ব্যবহৃত হয়, সেই ব্যাপারে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। যেমন ঊরু, ঘাড়, কাঁধ, কোমরের নিচের অংশের মাংসপেশিতে বেশি জোর দেওয়া উচিত। স্ট্রেচিংয়ে আরো একটি বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন, দুই পাশের মাংসপেশিতে স্ট্রেচ করতে হয়। অর্থাৎ বাঁ দিকের মাংসপেশিতে স্ট্রেচ করলে একই সঙ্গে ডান পাশেরটিতে করতে হবে।
অনেকের ধারণা, স্ট্রেচিং মানেই অযথা সময় নষ্ট। কিন্তু নিয়মিত স্ট্রেচিংয়ে দারুণ ফল পাওয়া যায়। ভালো ফলের জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন স্ট্রেচ করা উচিত। যদি নিয়মিত স্ট্রেচ করা না হয়, তাহলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাবে না। আর তখনই আপনার সময় নষ্টের ধারণাটা সঠিক হবে। কেননা স্ট্রেচিংয়ে যেমন গতি বাড়াতে সহায়তা করে, তেমনি অনিয়মিত হলে তা আবার গতি কমিয়ে দেবে।
সূত্র-দৈনিক কালের কন্ঠ
ছবি-সংগৃহীত