কিশোরের হেয়াস্টাইল
পোশাক ও হেয়ারস্টাইলেও কিশোর বয়সীরা থাকতে চায় চলতি ধারায়। অল্প বয়সের এই ফ্যাশন–ভাবনাকে নেতিবাচকভাবে দেখা ঠিক নয়, বরং একজন স্টাইলিশ কিশোর হয়ে উঠতে পারে সামনের দিনের সম্ভাবনাময় ব্যক্তিত্ব।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একজন কিশোর তার পরিচিত আঙিনার ভেতরে ও বাইরে নিজেকে আকর্ষণীয় হিসেবে তুলে ধরতে চায়। বারবার সে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্নভাবে নিজের কেশ বিন্যাস করে। সমসাময়িক তারকাদের হেয়ারস্টাইল অনুসরণ করে নিজের মধ্যেও তা মানিয়ে নিতে চায়। কোনটি তার জন্য প্রযোজ্য, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যায়। বিশেষ করে স্কুলপড়ুয়াদের সব সময় ইচ্ছেমতো হেয়ারস্টাইল করা সম্ভব হয়ে
ওঠে না। তাই তাদের এই সীমাবদ্ধতা ও ফ্যাশন–ভাবনাকে সহজ করে দিতেই হেয়ারস্টাইলের কিছু টিপ আজকে দেওয়া হলো। কিছু হেয়ারস্টাইল রয়েছে, যা একই সঙ্গে যেমন ফরমাল আবার ক্যাজুয়াল হেয়ারস্টাইল হিসেবেও মানানসই।
স্পাইক কাট
ক্রু কাট-
স্কুলপড়ুয়াদের জন্য এই হেয়ার কাট সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য। বিশেষ করে যারা ছোট চুল রাখতে আগ্রহী, তারা হেয়ারস্টাইল হিসেবে ক্রু কাট করতেই বেশি পছন্দ করে। মোটামুটিভাবে প্রায় সব স্কুলের নিয়মের সঙ্গে এটি যায়। ক্রু কাটে চুলের দৈর্ঘ্য সাধারণত এক ইঞ্চি থেকে দুই ইঞ্চির মধ্যে থাকে। আর মাথার পেছনের দিকে ও পাশে ক্রমান্বয়ে ক্লিপার দিয়ে ছেঁটে ছোট করে ফেলা হয়।
সাইড পার্ট-
এটি এমন একটি হেয়ার কাট, যা সর্বজনীন এবং সময় উত্তীর্ণ। যেকোনো ধরনের চুল ও অবয়বের সঙ্গেই এই হেয়ার কাট মানানসই। এই হেয়ারস্টাইল বেশির ভাগ মানুষের কাছে মার্জিত বলে পরিচিত। মাথার যেকোনো এক পাশে সিঁথি করে ওপরের চুলগুলো মাঝারি দৈর্ঘ্য রেখে কাটা হয়। আর মাথার পেছন ও পাশে ক্রমান্বয়ে ক্লিপার দিয়ে ছোট করে ছেঁটে ফেলা হয়। আর ওপরের চুলগুলো এক পাশে আঁচড়ানো হয়। কেউ কেউ কপালের ওপরের চুল কিছুটা ফুলিয়ে পেছনে আঁচড়িয়ে নেয়।
আন্ডার কাট-
এটি ট্রেন্ডি হেয়ারস্টাইল হলেও স্কুলের নিয়মের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যায়। আবার স্কুলের বাইরে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা যায়। কিশোরদের কাছে এটি এখন সবচেয়ে প্রিয়। আন্ডার কাট হেয়ারস্টাইল করে অনেকে স্কুলের বাইরে হেয়ার জেলও ব্যবহার করে থাকে। এই স্টাইলে মাথার ওপরের চুল দুই থেকে চার ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা রাখা যায়। তবে মাথার পেছনের এক পাশের চুল ক্রমান্বয়ে ক্লিপার দিয়ে ছোট করে ছেঁটে ফেলা হয়।
ট্যাপার ফেড-
এটি ছোট চুলের হেয়ারস্টাইল হলেও তেমন ছোট দেখায় না। একটি পরিচ্ছন্ন হেয়ার কাটিং এটি। এটি সামলানোও খুব সহজ। অনেকে এটিকে স্কুলপড়ুয়াদের জন্য আদর্শ হেয়ারস্টাইল মনে করেন। যেসব কিশোর খেলাধুলা করে, তাদেরও এই স্টাইল ধরে রাখতে তেমন কষ্ট করতে হয় না। মাথার সামনের এবং পেছনের চুল ক্রমান্বয়ে কাঁচি দিয়ে ছোট করে ফেলা হয়। ক্লিপারের ব্যবহার সাধারণত হয় না। তবে কানের ওপরে ও ঘাড়ে ব্লেড ও ক্ষুর ব্যবহার করা হয়।
এলোমেলো চুলও এখন স্টাইল
স্পাইকি-
যেসব কিশোর কেয়ার ফ্রি লুক চায়, তাদের জন্য স্পাইকি একটি সঠিক নির্বাচন। স্টাইলিশ ছেলেদের কাছে এটি অনেক আগে থেকেই প্রিয়। এই স্টাইল প্রফেশনাল লুক এনে দেয়। মাথার ওপরের চুলগুলো খাঁড়া দেখানোর জন্য হেয়ার জেল লাগানোর প্রয়োজন পড়ে। কানের দুপাশের ও ঘাড়ের ওপরের চুল তুলনামূলকভাবে ছোট রাখা হয়। মাথার ওপরের চুলের দৈর্ঘ্য থাকে সাধারণত এক থেকে দু ইঞ্চি পর্যন্ত।
ব্যাঙস-
এই হেয়ারস্টাইল করলে বয়স তুলনামূলকভাবে কম মনে হবে। তাই বাবা–মায়েরা ছেলেদের এই স্টাইল নিতে বেশি উৎসাহিত করেন। ব্যাঙসের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সামনের চুলগুলো বড় রাখা হয়, যা কপালের ওপরে পড়ে থাকে। মাথার পেছনের এবং পাশের চুল কাঁচি অথবা ক্লিপার দিয়ে ছোট করে কাটা হয়। স্টাইলটি ম্যানেজ করা খুব সহজ।
ডিসকানেক্টেড হেয়ারস্টাইল-
চুলের যে কাটগুলোতে মাথার দুপাশের চুল কাঁচি অথবা ক্লিপার দিয়ে একেবারে ছোট করে ছেঁটে ফেলা হয় এবং সেখানে ব্লেড ও ক্ষুর ব্যবহার করে বিভিন্ন আকৃতির ডিজাইন এঁকে দেওয়া হয়। সেগুলোই ডিসকানেক্টেড হেয়ারস্টাইল। লম্বা ছুটিতে কিশোরেরা এই হেয়ারস্টাইল নিতে পারে।
সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো