রঙিন চুলের যত্ন
চুল রং করার ক্ষেত্রে রাসায়নিক কৃত্রিম রংই বেশি জনপ্রিয়। এমন চুলের যত্নটাও তাই হবে ভিন্ন। অনেকেই ভুল করে এমন চুলে হারবাল ট্রিটমেন্ট করে থাকেন। যেমন মেহেদি বা ঘরে তৈরি ভেষজ প্যাক। এতে চুলে আসে রুক্ষ ভাব। তাই চুল নষ্ট হতে শুরু করে। রং করালে চুলে একটা বাড়তি সৌন্দর্য চলে আসে। অনেকেই চুলের এই উজ্জ্বলতায় মুগ্ধ হয়ে পরিচর্যার কথা ভুলে যান। কিছুদিন পরেই চুল রুক্ষ হতে শুরু করে। বোধোদয় হয় তখন। চুলের বাড়তি যত্ন নেওয়া শুরু হয়। দরকার আগে থেকেই প্রস্তুতি। প্রতি সপ্তাহে নিতে হবে স্পা ও প্রোটিন ট্রিটমেন্ট।
প্রোটিন ট্রিটমেন্ট-
প্রথমে সম্পূর্ণ চুল ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। মাথার ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করুন। এরপর টাওয়াল দিয়ে চেপে চুলের পানি শুষে নিন। শুকনো চুলে লাগাতে হবে প্রোটিন প্যাক। বাজারে কয়েক ধরনের প্রোটিন প্যাক পাওয়া যায়। এর মধ্যে এগ প্রোটিন জনপ্রিয়। প্রোটিন দেওয়ার পর চুলে ক্রিম লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ রেখে পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
স্পা-
চুলের রং ধরে রাখতে সপ্তাহে এক দিন স্পা করতে পারেন। স্পা করতে চুলে ভালো করে উষ্ণ গরম তেল ম্যাসাজ করে নিতে হবে। এই ম্যাসাজ চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করবে। এরপর পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এরপর টাওয়াল দিয়ে চুলের পানি শুষে ব্লো ড্রাইয়ারে চুল শুকিয়ে নিন। চুলের রং ঝকঝকে রাখতে সপ্তাহে এক দিন এ ট্রিটমেন্ট দরকার। সপ্তাহে এক দিন চুলে তেল ব্যবহার করতে হবে। প্রতিদিন রঙিন চুলে তেল না দেওয়াই ভালো।
টিপস-
♦ চুলে রং করার আগেই চুল স্বাস্থ্যকর ও ময়েশ্চারাইজড করার চেষ্টা করুন। সেটি অন্তত তিন থেকে চার সপ্তাহ আগে থেকেই।
♦ চুল শক্ত করতে এবং ভলিউম বাড়াতে কালার করানোর আগে নিয়মিত ডিপ কন্ডিশন করুন। ডিম, কলা ও টক দই সমান পরিমাণে একত্রে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই হেয়ার প্যাকটি চুলের গোড়ায় এবং পুরো চুলে ভালো করে লাগিয়ে রাখুন এক ঘণ্টা। এরপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল নরম ও ময়েশ্চারাইজড করে।
♦ রং করা চুলের জন্য বিশেষ কালার প্রোটেক্ট শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এসব শ্যাম্পু চুলের কালার ঠিক রাখে এবং চুল ময়েশ্চারাইজড করে।
♦ যতটা সম্ভব হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার বা চুলে আয়রন করা থেকে বিরত থাকুন। এতে চুল রুক্ষ ও ক্ষয়িষ্ণু হয়।
সূত্রঃ দৈনিক কালের কন্ঠ
ছবিঃ সংগৃহীত