তেল দিয়ে চুলের যত্ন

তেল দিয়ে চুলের যত্ন

শীতকালে ধুলাবালি বেশি হয়, তাই চুলে ময়লাও জমে বেশি। সারা বছরের মতোই মাথার ত্বকের যত্নে এ সময়েও তেলের বিকল্প নেই। চুলে তেলের উপকার ও ব্যবহার বিষয়ে এভারগ্রিন অ্যাডামস অ্যান্ড ইভের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাহিদ আফরোজ তানির পরামর্শ

 

চুলের যত্নে নিয়মিত মাথার ত্বকে তেল ম্যাসাজের বিকল্প নেই। তবে অনেকেই মাথার ত্বকে তেল না দিয়ে চুলে তেল দিয়ে থাকেন। এটি একেবারেই ঠিক না। মাথার ত্বকের জন্য নিয়মিত তেল ম্যাসাজ বিশেষ উপকারী। এতে মাথার ত্বকের পাশাপাশি চুলও ভালো থাকে। চুলের গোড়া মজবুত হয়। চুলের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।

 

চুল পড়া কমাতে-

শীতকালে আবহাওয়ার শুষ্কতার প্রভাব চুলে বেশি পড়ে। চুলের গোড়া আলগা হয়ে চুল পড়া বেড়ে যায়। চুল পড়া রোধে নারিকেল তেল ও ক্যাস্টর অয়েল একসঙ্গে হালকা গরম করে রাতে মাথায় দিতে পারেন।

 

বাড়তি পুষ্টি-

আমণ্ড অয়েল কিংবা তিলের তেলও একসঙ্গে করে ব্যবহার করা যেতে পারে। তার সঙ্গে ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুল ভেঙে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এটি চুলে বাড়তি পুষ্টি জোগাবে।

 

রুক্ষ চুলে-

চুলে কালার কিংবা রিবন্ডিং করার কারণে অনেক সময় চুল রুক্ষ হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল কার্যকর। অলিভ অয়েল হালকা কুসুম গরম করে তার সঙ্গে ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুল মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে চুলের রুক্ষ ভাব কমে যাবে।

 

হট অয়েল ম্যাসাজ-

শীতের দিনে সবচেয়ে উপকারী হট অয়েল ম্যাসাজ। নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল, আমণ্ড তেল বা যেকোনো চুলে লাগানোর তেল হালকা গরম করে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে লাগাতে পারেন। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন কিংবা রাতে লাগিয়ে সকালে ধুয়ে ফেলতে পারেন।

 

জানা ভালো-

বেশি সময় চুলে তেল দিয়ে রাখলে বেশি উপকার মিলবে—এ ভাবনাও ভুল। শ্যাম্পু করার ৩০ মিনিট আগে চুলের গোড়ায় তেল দিলেই হবে। এর বেশি সময় তেল রেখে দিয়ে আসলে লাভ নেই। কেননা মাথার ত্বক এর চেয়ে বেশি তেল শোষণ করতে পারে না; বরং বেশিক্ষণ তেল দিয়ে রাখলে চুলে ময়লা এসে আটকে যাবে। চুলের গোড়া হয়ে পড়বে দুর্বল।

 

যাদের মাথার ত্বক তৈলাক্ত, তাদের চুলের গোড়ায় তেল না দিয়ে আগায় দিতে হবে। আমাদের লোমকূপ ও চুলের গোড়া থেকেও তেল বের হয়। যাকে বলা হয় সিবাম সিক্রেশন। চুল অনেক বেশি লম্বা হলে মাথার তালু থেকে বের হওয়া তেল চুলের আগা পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না। মাসের পর মাস এ রকম হলে চুলের আগা শুকনো হয়ে ফেটে যায়। একে বলা হয় সিপ্লট এন্ডস। যাদের ত্বক বেশি তৈলাক্ত, তাদের চুলের গোড়ায় তেল না দিয়ে আগায় দেওয়াই ভালো।

 

 

 

 

সূত্রঃ দৈনিক কালের কন্ঠ