চন্দন দিয়ে রূপচর্চা !
শ্রেষ্ঠ উপহার চন্দন। সৌন্দর্যচর্চায় এর ব্যবহার হাজার বছরের। ত্বকের দাগছোপ দূর করে লাবণ্য অটুট রাখতে নিয়মিত চন্দনচর্চা বেশ ফলপ্রদ। একসময় প্রসাধনীতে এটি অপরিহার্য ছিল। এখনো এর কদর কমেনি। ত্বকে প্রশান্তি এনে দিতে চন্দনের জুড়ি নেই। অ্যান্টি-অ্যাজিং এবং ত্বকের বলিরেখা দূর করে। ডার্ক সার্কেল কমায়। রোদে পোড়া দাগ ছোপ কমাতে এমনকি ত্বকে ফ্যাকাশে ভাব কমাতে এটি দারুণ। ত্বকের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব নিয়ন্ত্রণ করতে চন্দন সহায়তা করে। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় এটি ত্বকের নানা সমস্যা সারিয়ে তুলতে পারে। শুধু ত্বক নয়, সুগন্ধী হিসেবেও চন্দন প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। খাঁটি চন্দনে একধরনের সুঘ্রাণ পাওয়া যায়। বিভিন্ন রকম কসমেটিকস ও সুগন্ধিতে চন্দন ব্যবহৃত হয়। যখন জুঁই, গন্ধরাজ, কমলা ফুল, রজনীগন্ধা ইত্যাদি সাদা ফুলের সঙ্গে মেশানো হয়, তখন তা হয়ে ওঠে মনোমুগ্ধকর সৌরভের ভাণ্ডার। চন্দনে তৈরি হরেক রকমের ফেসপ্যাক ত্বকের ধরন বুঝে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
১. স্বাভাবিক ত্বকে হলুদ বাটা ও চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে মেখে রেখে দিতে হবে ২০ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে।
২. গোলাপজল, অল্প টকদই এবং শসার রসের সঙ্গে চন্দন মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩. তৈলাক্ত ত্বকে চন্দন গুঁড়ার সঙ্গে টমেটোর রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে সুফল পাওয়া যায়। ত্বকে টানটান ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
৪. তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা গোসলের আগে কিংবা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গোলাপজলের সঙ্গে চন্দনের গুঁড়ার পেস্ট মুখে লাগিয়ে রাখুন অন্তত দশ মিনিট। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৫. চন্দনের সঙ্গে নারকেল তেল ও লেবুর রস মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেনসিটিভ ত্বকের অধিকারীরা লেবুর রস এড়িয়ে যান।
সূত্রঃ দৈনিক বিডি প্রতিদিন
ছবিঃ সংগৃহীত