মাশকারার রকমফের

মাশকারার রকমফের

বিউটিশিয়ানরা বলেন, চোখের সাজে মাশকারা না দিলেই নয়। কেননা, পুরো মুখের মেকআপ আপনার যতই দিন না কেন, পাপড়ি জোড়া ঘন না হলে যেন সাজটাই অসম্পূর্ণ। রইল হরেক রকম মাশকারার হদিস।

 

প্রাইমার মাশকারা-

এই মাশকারায় চোখের বেজ তৈরি করতে সহজ হয়। চোখ জোড়া সমানভাবে হালকা (নিউট্রাল) রেখে মাশকারা লাগানো যায়। এই মাশকারার আরেকটি সুবিধা হলো এটি চোখে জটলা বাঁধে না। শুধু তাই নয়, এটি চোখের নানা ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও রক্ষা করে।

 

ডিপ মাশকারা-

যাদের আঁখি পল্লব ছোট এবং ফাঁকা ফাঁকা; তারা ডিপ মাশকারা বা লেনদেনিং মাশকারা ব্যবহার করতে পারেন। এর ব্রাশ অনেক ঘন ও পাপড়িগুলো বেশ লম্বা হয়। ফলে এই মাশকারা ব্যবহারে চোখ অনেক ঘন এবং লম্বা দেখায়।

 

ভলিউম মাশকারা-

যাদের পাপড়ি হালকা এবং কম; তারা অবশ্যই ভলিউমাইজিং মাশকারা ব্যবহার করুন। এটি সাধারণত সিলিকন পলিমার ও বিশেষ ওয়্যাক্স দিয়ে তৈরি। ফলে পাপড়িগুলো বেশ ঘন ও কালো দেখায়।

 

কার্লিং মাশকারা-

চোখে স্টাইলিশ লুক পেতে কার্র্ভড ব্রাশের মাশকারাও ব্যবহার করতে পারেন। এতে পাপড়ি বা ল্যাশ জোড়া কার্লিং হয়ে যাবে। ল্যাশের গোড়া থেকে শেষ অব্দি এই মাশকারা কার্লিং এফেক্টের পাশাপাশি ঘনত্বও বজায় রাখবে দীর্ঘক্ষণ।

 

স্মাজপ্রুফ মাশকারা-

বর্ষার মৌসুমে এই মাশকারা ব্যবহার করতে পারেন। এতে ওয়্যাক্স অয়েল বেস থাকে। ফলে এই মাশকারা স্মাজ করে না। তাই দীর্ঘ সময় মেকআপ ধরে রাখতে হলে এই মাশকারা বেস্ট।

 

ওয়াটারপ্রুফ মাশকারা-

মাশকারা যেন ছড়িয়ে না যায়, তাই এই মাশকারা ব্যবহার করতে পারেন। এতে মিনারেল অয়েল ও ওয়্যাক্স ব্যবহার করায় এই মাশকারা সহজে ছড়িয়ে যায় না এবং দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়।

 

প্রিসাইজ অ্যাপ্লিকেটর-

গোলাকার হওয়ায় এটি ব্রাশের সাহায্যে প্রতিটি পাপড়িতে ভালো করে লাগানো যায়। যদিও এই ব্রাশে মাশকারা লাগাতে অনেক সময় লাগে। তবে ফলাফলটা খুবই ভালো হয়।

 

ল্যাশ ডিফাইনিং মাশকারা

আইল্যাশের ঘনত্ব ও দৈর্ঘ্য বাড়ানোর জন্য এই মাশকারা পারফেক্ট। এই মাশকারা ওয়াটারপ্রুফও হয়ে থাকে। তাই বেস্ট হিসেবে এটি ব্যবহার করতে পারেন।

 

জিরো ক্লাম্প মাশকারা

এতে ওয়্যাক্স বা পলিমার কম থাকায় চোখের প্রতিটি পাপড়ি আলাদাভাবে হাইলাইট করা যায়। এই মাশকারা আইল্যাশ ঘন করার জন্য ভালো নয়। তবে স্বাভাবিক লুকের জন্য পারফেক্ট।

 

 

 

 

 

সূত্রঃ দৈনিক  বিডি প্রতিদিন

ছবিঃ সংগৃহীত