কেন খাবেন চিয়া সীড ?
বর্তমানে প্রতিদিনের খাবার ও খাবারের পুষ্টিগুণ নিয়ে মানুষের সচেতনতা বাড়ছে। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের খাবারের তালিকায় চিয়া সিড এখন বেশ জনপ্রিয় ।
চিয়া সিড দেখতে অনেকটা তিলের দানার মতো। প্রাচীন অ্যাজটেক জাতির প্রধান খাদ্য তালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত বলে বিশেষজ্ঞরা দাবি করে থাকে। পৃথিবীর পুষ্টিকর খাবারগুলোর মধ্যে চিয়া সিড অন্যতম।
চিয়া সিড এর উপকারিতা-
চিয়া সিডে আছে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ।
১. চিয়া সিডে আছে ওমেগা-৩, যা হৃদরোগের ঝুঁকি ও ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে।
২. প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় চিয়া সিড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে।
৩. চিয়া সিড ব্লাড সুগার স্বাভাবিক রাখে, যা ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
৪. চিয়া সিড পেটের প্রদাহজনিত বা গ্যাসের সমস্যা দূর করে।
৫. এতে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ উপকারী।
৬. এটি শরীর থেকে টক্সিন (বিষাক্ত পদার্থ) বের করে দিতে সাহায্য করে।
৭.মেটাবলিক সিস্টেমকে উন্নত করার মাধ্যমে এটি ওজন কমাতে সহায়তা করে।
চিয়া সীড কিভাবে খাবেন ?
চিয়া সিড সরাসরি পানিতে ভিজিয়েও খাওয়া যায়, আবার বিভিন্ন ধরনের খাবারের সঙ্গে যেমন দই, দুধ, জুস ইত্যাদির সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়া যায়। তবে সরাসরি খেতে হলে পানিতে ন্যূনতম ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে খেলে এর কার্যকারিতা বেশি হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে দ্রুত ওজন কমাতে খালি পেটে সকালে ও রাতে ঘুমানোর আগে ১ গ্লাস পানির মধ্যে ২ চা চামচ চিয়া সিড ও ২ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না-
চিয়া সিড খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণের দিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। চিয়া সিডের পুষ্টিগুণের চিন্তা করে চিয়া সিড অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। কারণ প্রচুর ফাইবার থাকায় চিয়া সিড অতিরিক্ত খেলে বদ হজম, গ্যাস, এসিডিটি ইত্যাদি হতে পারে।
এ ছাড়াও যাদের কিডনি সমস্যা রয়েছে তাদের এ ধরনের ভেষজ খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে আপনার কিডনি কন্ডিশন অনুযায়ী দৈনিক ফাইবারের চাহিদার সঙ্গে ব্যালেন্স করে চিয়া সিড খাবার কথা চিন্তা করতে পারেন।