রূপচর্চায় চালের গুড়া

রূপচর্চায় চালের গুড়া

চালের গুঁড়া মানেই তো পিঠাপুলি তৈরির অন্যতম উপকরণ। তবে দৈনন্দিন রূপচর্চায়ও এর কার্যকারিতা কম নয়। কারণ, চালের গুঁড়া এমন একটি উপকরণ, যা সব ধরনের ত্বকের জন্য উপকারী। রূপবিশেষজ্ঞ শারমীন কচি জানালেন, ত্বক পরিষ্কার করতে চালের গুঁড়া খুব কাজে দেয়। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে সব ধরনের চালের গুঁড়া যে ত্বকে ব্যবহার করা যাবে তা কিন্তু নয়। শুধু আতপ চাল ও কালিজিরা চালের গুঁড়া ভালো স্ক্রাবিংয়ের কাজ করে।

চালের গুড়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে-

  
১. বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সেদ্ধ চাল প্রস্তুত করা হয়। যে কারণে ত্বকের যত্নে এই চালের গুঁড়া খুব একটা ভূমিকা রাখে না।


২. চালের গুঁড়া এখন বাজারে কিনতে পাওয়া গেলেও বাড়িতেই তা তৈরি করে নেওয়া ভালো। এ জন্য চাল ভিজিয়ে রাখুন। এক ঘণ্টা পর ভালো করে পানি ঝরিয়ে তা ব্লেন্ডারে দিয়ে দিন।

 
৩. তৈলাক্ত ত্বকে চালের গুঁড়া ব্যবহার করতে চাইলে শুধু পানি মিশিয়ে নিলেই হবে। তবে শুষ্ক ত্বকে চালের গুঁড়া সরাসরি ব্যবহার না করাই ভালো। এ ক্ষেত্রে মধু, ক্যাস্টর অয়েল অথবা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন; যা শুষ্ক ত্বকের স্বাভাবিকতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে।


৪. ত্বক পরিষ্কারের পাশাপাশি চালের গুঁড়া মুখের ব্ল্যাক হেডস, নাকের দুই পাশের মরা কোষ তুলতে সাহায্য করে। সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার পর ত্বকে আলাদা করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু চালের গুঁড়া দিয়ে মুখ পরিষ্কারের পর আর আলাদা করে ময়েশ্চারাইজিংয়ের প্রয়োজন হয় না।


৫. চালের গুঁড়া সংরক্ষণের জন্য তা ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। তবে গুঁড়া যদি হলদে বর্ণ ধারণ করে, তবে তা আর ব্যবহার করা যাবে না।

 

সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো, নকশা

ছবিঃ সংগৃহীত