ক্রাশ ডায়েটের ক্ষতিকর ৭টি দিক
দ্রুত ওজন কমাতে ক্রাশ ডায়েট প্ল্যান বেশ জনপ্রিয়। সাত থেকে ১০ দিনে ৫ কেজি পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব এতে। অতিরিক্ত বা কঠোর খাদ্যনিয়ন্ত্রণের (প্রায় না খেয়ে থাকা) ফলে ওজন দ্রুত কমবে ঠিকই, কিন্তু এ কারণে শরীরের পুষ্টিঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করে।
সাধারণত পুষ্টিবিদরা, ছিপছিপে, সুস্থ শরীরের জন্য কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার অর্থাৎ ভাত, রুটি, আলু জাতীয় খাবার কমই খেতে বলেন। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না ছিপছিপে বা স্লিম হওয়ার চেষ্টায় এ ডায়েটের ফলে শরীরের ক্ষতিই হয় বেশি।
চলুন তাহলে ক্রাশ ডায়েটের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
* ক্রাশ ডায়েট দীর্ঘদিন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, উচিতও নয়। ফলে আবার স্বাভাবিক ডায়েটে ফিরে এলে ওজন আগের চেয়েও বেড়ে যেতে পারে।
* ক্রাশ ডায়েটের ফলে শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না, ফলে ধীরে ধীরে পেশী দুর্বল হয়ে পড়ে।
* ক্রাশ ডায়েটের সময় শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে উপোস করার অভ্যাস বা অন্যান্য ‘ইটিং ডিজঅর্ডার’ দেখা দিতে পারে।
* নারীদের ক্ষেত্রে খুব অল্প বয়সে ক্রাশ ডায়েট করলে নানা রকম মেনস্ট্রুয়াল ডিজঅর্ডার বা অনিয়মিত ঋতুর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
* নারীদের ক্ষেত্রে ক্রাশ ডায়েটের ফলে শরীর পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম না পেলে অস্টিওপরেসিস বা হাড় ক্ষয়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
* ক্রাশ ডায়েটের ফলে শরীর যদি সঠিক পরিমাণ প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম না পায় তাহলে অপুষ্টির সমস্যায় ধীরে ধীরে শরীর ভেঙে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়।
* ক্র্যাশ ডায়েটের ফলে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি না পেলে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে যেতে পারে। ত্বক তার ঔজ্জ্বল্য হারাতে পারে।
সূত্রঃ দৈনিক আমাদের সময়
ছবিঃ সংগৃহীত