নাভীতে তেল লাগানোর বেনিফিট কি কি ?
অনেকেরই ধারনা, জন্মের জন্য মায়ের গর্ভে আমবিলিকাল কর্ডটি বা নাড়ী সংযুক্ত থাকার কারনে নাভীর অংশটি শরীরে আছে। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই জাদুকরী অংশটি আপনার দৈনন্দিন অনেক সমস্যার সমাধানের সুযোগ করে দিতে পারে?
কিভাবে? চলুন জেনে নেই-
১. ব্রন কমাতে নাভীতে নিম অয়েল দিন-
সুন্দর মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয় ব্রন এবং অ্যাকনের দাগ। কিন্তু আপনি জানেন কি ? নাভীতে নিম অয়েল লাগালে ত্বক দাগহীন হবে, ব্রন, অ্যাকনে দূর হবে। একটি তুলার বলে নিম অয়েল নিয়ে নাভীতে লাগান নিয়মিত।
২. গ্লোয়িং ত্বকের জন্য নাভীতে আমন্ড অয়েল লাগান-
আমন্ড অয়েল শুধু চুলের জন্য নয়, ত্বকের জন্য চমৎকার কাজ করে। ত্বকের নিস্প্রভতা দূর করতে, ত্বক সতেজ এবং গ্লোয়িং করে তুলতে, তুলায় আমন্ড অয়েল নিয়ে নাভীতে লাগান।
৩. ঠোটেঁর শুস্কতা দূর করতে সরিষার তেল-
আপনার ঠোঁট শুস্ক এবং রূক্ষ হয়ে উঠেছে, কিছুতেই রূক্ষতা দূর হচ্ছে না। তুলার বল সরিষার তেলে ভিজিয়ে নিয়মিত নাভীতে লাগান। ঠোঁটের রূক্ষতা দূর হবে।
৪. ফার্টিলিটি বাড়াতে অলিভ অয়েল অথবা নারিকেল তেল-
নারিকেল তেলে চুলের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান আছে, যা চুলকে সুন্দর রাখে। তবে আপনি কি জানেন ? নারিকেল তেল ত্বকও সুন্দর রাখে এবং এটি শরীরে ফার্টিলিটি বাড়াতেও বেশ কার্যকরী। তুলার বল নারিকেল তেলে ভিজিয়ে নিয়মিত নাভীতে লাগান।
৫. ত্বক সফট করতে ঘি ব্যবহার করুন-
ঘি ত্বক সফট করে। তাই সফট ত্বক পেতে নাভীতে নিয়মিত ঘি লাগিয়ে দেখুন। আপনার ত্বক ভেতর থেকে আরো বেশী সফট এবং সুন্দর হয়ে উঠবে।
৬. ত্বকের পিগমেন্টেশন দূর করতে লেমন অয়েল-
ত্বকের পিগমেন্টেশন দূর করতে কত কিছুই না চেষ্টা করে অনেকে। কিন্তু কিছুতেই দূর হতে চায় না। লেমন অয়েল কটন বলে ভিজিয়ে নাভীতে লাগান। লেবুর রসের উপাদান দাগ দূর করতে সাহায্য করে, তেমনি লেমন অয়েলেও আপনার ত্বকের দাগ দূর করবে।
ছবিঃ সংগৃহীত