নাগরায় আধুনিকতা

নাগরায় আধুনিকতা

নাগরার বিশেষত্ব এর পুরোটাই হাতে তৈরি। চামড়া কাটা থেকে শুরু করে ওপরের নকশা, সেলাই—সবই কারিগরের হাতের জাদু। চলতি সময়ে এসে নাগরাকে নতুন রূপ দিয়েছেন বাংলাদেশি ডিজাইনাররাও। জারদৌসি, জরি, চুমকি আর রাজস্থানি কারুকাজ তো নাগরায় বহু দেখেছেন। ইদানীং বাংলাদেশি নকশিকাঁথার দেখা মিলছে নাগরায়।

 

Kabir-Hossain_50

 

নাগরার সঙ্গে পোশাকটা কেমন হতে হবে -

ঢাকা প্যান্ট, ইজার প্যান্ট, কিউলেটস, চুড়িদার ও গারারার সঙ্গে নাগরা খুব সুন্দর মানিয়ে যায়। সালোয়ারের সঙ্গেও মন্দ নয়। এখন তো টপ আর জেগিংসের সঙ্গেও তরুণীরা নাগরা পরছেন হরদম।

নাগরা আছে অনেক রকম। কোনোটার সামনের দিক চোখা, কোনোটা একটু ভোঁতা। তবে এখন সামনের দিক ভোঁতা বা ডিমাকৃতির নাগরাগুলোই পছন্দ করছে সবাই। কিছু নাগরায় থাকছে পমপম। এমনটাই জানা গেল ওয়ারাহর ডিজাইনার রুমানা চৌধুরীর কাছে। তিনি বলছেন, ঐতিহ্যবাহী ও সমসাময়িক দুই ধরনের নাগরাই চলছে এখন। কী ধরনের পোশাকের সঙ্গে পরা হবে তার ওপর নির্ভর করেই নাগরা বেছে নিতে হবে। তাঁরা এবার মোটিফভিত্তিক নাগরা এনেছেন। সুই–সুতার ফোঁড়ে নাগরায় তুলেছেন ফুল ও পাখির মোটিফ।

অন্যদিকে চামড়ার সাদাসিধা নাগরাও ফ্যাশনে দখল করে নিয়েছে নিজ স্থান। বাজারে ব্রাইডাল নাগরায় পাবেন পুঁতি, চুমকি, জরির কাজ। আছে নকল কুন্দন ও ডলারের ব্যবহার। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সম্পূর্ণ দেশীয় সুই–সুতার কাজ। ফ্যাশনপ্রেমীদের অনেকে আবার প্রিন্টের নাগরাও পরছেন আজকাল।

সমান সোল, তাই নাগরায় চলেফিরে আরাম। নিয়মিত ব্যবহার ও নিমন্ত্রণ দুই জায়গাতেই নাগরা এখন পছন্দের তালিকায় ‘এক নম্বর’।

 

 

 

 

 

সূত্রঃ নকশা, দৈনিক প্রথম আলো

ছবিঃ দৈনিক প্রথম আলো